—প্রতীকী চিত্র।
বিয়ের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে এক নাবালিকাকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়ায়। তার তদন্তে নেমে মূল অভিযুক্ত-সহ ছ’জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে চলা সেই মামলাটির নিষ্পত্তি হল শুক্রবার। হলদিয়ার পকসো আদালতে মূলচক্রীকে আমৃত্যু কারাবাসের সাজা শোনালেন বিচারক। বাকি পাঁচ জনের মধ্যে এক জনের ২০ বছর এবং তিন জনের ১২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
সরকারি আইনজীবি দেবরঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “একটি মেয়েকে ফুসলিয়ে দেহ ব্যবসার কারবারিদের কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছিল। ওই ঘৃণ্য অপরাধের জন্য দোষীদের কঠোর সাজা শুনিয়েছে হলদিয়ার বিশেষ পকসো আদালত। এই মামলায় আরও দুই অভিযুক্ত পলাতক। ওরা ধরা পড়লে কঠোরতম শাস্তির মুখে পড়তে হবে।”
২০১৭ সালের ঘটনা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরের বাসিন্দা সাহাজামাল মোল্লা নামের হলদিয়ার ১৬ বছরের নাবালিকাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দিল্লি নিয়ে গিয়েছিলেন। অভিযোগ ওঠে, সেখানে নাবালিকাকে বিক্রি করে দেওয়া হয়। নাবালিকার খোঁজ না মেলায় পরিবারের তরফে নিখোঁজ ডায়েরি করা হয় হলদিয়া থানায়। তদন্তে নেমে মোবাইল ফোনের টাওয়ার লোকেশন দেখে পুলিশ জানতে পারে, নাবালিকা দিল্লিতে রয়েছে। এর পরেই অভিযান চালিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করে পুলিশ। মূল অভিযুক্ত-সহ বেশ কয়েক জনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে বেশ কয়েক জন জামিনে ছাড়া পেয়ে যান।
সরকারি আইনজীবী জানান, মূল অভিযুক্ত সাহাজামাল মোল্লা ওরফে রাকেশকে আজীবন কারাবাসের সাজা শোনানো হয়েছে। ২০ বছরের কারাবাস হয়েছে আর এক অভিযুক্ত শালু সিংহের। বাকি চার অভিযুক্ত প্রবীণ কুমার (ওরফে রিঙ্কু), মনীষা, মেরি এবং সেহেনওয়াজ বেগক (ওরফে ইন্দু)-কে ১২ বছরের কারাবাসের সাজা শুনিয়েছেন বিচারক। সেই সঙ্গে নাবালিকাকে ৩ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দেবরঞ্জন বলেন, “এই মামলার অপর দুই অভিযুক্ত মেরির ছেলে রাজকিশোর এবং রাধা এখনও বেপাত্তা। ধরা পড়লে ওদের কমপক্ষে ১২ বছরের সাজা হবে।”