R G Kar Medical College And Hospital Incident

মেয়েদের ‘রাত দখল’-এর লড়াইয়ে পথে আরজি করের পরিবারের সদস্যেরা, দাবি, দোষীদের শাস্তি হোক!

১৮৮৬ খ্রিস্টাব্দে স্কটল্যান্ডের এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডাক্তারি পাশ করে দেশে ফেরেন রাধাগোবিন্দ। সেই বছরই ইংরেজ সরকারের থেকে সাহায্য নিয়ে তৈরি করেছিলেন এশিয়ার প্রথম বেসরকারি হাসপাতাল।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
হাওড়া শেষ আপডেট: ১৫ অগস্ট ২০২৪ ১৮:৫৫
চিকিৎসক রাধাগোবিন্দ করের ছবি হাতে প্রতিবাদে শামিল তাঁর পরিবারের সদস্যেরা।

চিকিৎসক রাধাগোবিন্দ করের ছবি হাতে প্রতিবাদে শামিল তাঁর পরিবারের সদস্যেরা। — নিজস্ব চিত্র।

আরজি কর হাসপাতালে এক চিকিৎসক পড়ুয়াকে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার প্রতিবাদে স্বাধীনতার মধ্যরাতে কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় পথে নামেন মেয়েরা। তাঁদের ‘রাত দখল’-এর কর্মসূচিতে শামিল হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা চিকিৎসক রাধাগোবিন্দ করের পরিবারও। এই ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং মহিলাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানালেন তাঁরা।

Advertisement

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে জরুরি বিভাগের সেমিনার হলে গত শুক্রবার মিলেছে মহিলা চিকিৎসকের দেহ। অভিযোগ, ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে তাঁকে। তার পর থেকে বার বার এই আরজি কর মেডিক্যাল কলেজকে ঘিরে উঠেছে একাধিক অভিযোগ। রাজ্যবাসীর চিকিৎসার জন্য এই হাসপাতাল তৈরি করিয়েছিলেন হাওড়ার বেতরের কর পরিবারের সেই কৃতি সন্তান। তিনি রাধাগোবিন্দ।

পরিবারের সদস্য পার্থ কর জানালেন, ১৮৮৬ খ্রিস্টাব্দে স্কটল্যান্ডের এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডাক্তারি পাশ করে দেশে ফেরেন রাধাগোবিন্দ। সেই বছরই ইংরেজ সরকারের থেকে সাহায্য নিয়ে তৈরি করেছিলেন এশিয়ার প্রথম বেসরকারি হাসপাতাল। নাম দেওয়া হয় ক্যালকাটা মেডিক্যাল স্কুল। পরবর্তী কালে রাধাগোবিন্দের নামে তার নাম হয় আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল। চিকিৎসাবিদ্যা পঠনপাঠনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা আনতে তৈরি হয়েছিল এই মেডিক্যাল কলেজ। পরিবারের সদস্য স্বাগতা ঘোষ জানিয়েছেন, চিকিৎসকের নিগ্রহের ঘটনায় প্রতিষ্ঠানের ‘গরিমা’ নষ্ট হয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, এ ধরনের ঘটনা ঘটলে তার দায় মুখ্যমন্ত্রীকে নিতে হবে। ভুল থাকলে তা শুধরে নিয়ে রাজ্যের মানুষের পাশে থাকতে হবে।

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের প্রতিবাজে যে আন্দোলন শুরু হয়েছে, তাতে সমর্থন জানিয়েছেন রাধাগোবিন্দের উত্তরসূরিরা। তাই মেয়েদের ‘রাত দখল’-এর কর্মসূচিতে তাঁরাও পথে নামেন। বেতরের ওই কর পরিবারের পুত্রবধূ শমিতা কর বলেন, ‘‘গোটা ঘটনায় আমরা কার্যত বাক্‌রুদ্ধ। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং সর্ব ক্ষেত্রে মহিলাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা হোক।’’

আরও পড়ুন
Advertisement