Fake Offer Letter

ভুয়ো নিয়োগপত্র বিলির অভিযোগ নিয়ে ‘পদক্ষেপ করছে প্রশাসন’, আর কিছু বলার নেই মন্ত্রী ইন্দ্রনীলের

যাঁদের তরফে ভুয়ো নিয়োগপত্র পাওয়ার অভিযোগ তোলা হয়েছে, রাজ্য সরকার তাঁদের এবং সংশ্লিষ্ট ‘নিয়োগকারী সংস্থার’ সঙ্গে যোগাযোগ করবে কি না, সে প্রশ্ন করা হলেও সরাসরি জবাব দেননি ইন্দ্রনীল।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৯:৪৮
মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন।

মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন। ফাইল চিত্র।

‘উৎকর্ষ বাংলা’ প্রকল্পে ভুয়ো নিয়োগপত্র বিলির অভিযোগ ঘিরে ‘প্রশাসন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করছে’। সোমবার রাজ্যের কারিগরি শিক্ষামন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন এ কথা জানিয়ে বললেন, ‘‘এর বাইরে আমার আর কিছু বলার নেই।’’

সোমবার অবনীন্দ্র সভাঘরে রাজ্য সরকারের একটি কর্মসূচিতে যোগ দিতে এসেছিলেন মন্ত্রী ইন্দ্রনীল। সেই কর্মসূচি সেরে বেরিয়ে যাওয়ার পরে তাঁর কাছে ‘ভুয়ো নিয়োগপত্র’ বিলির অভিযোগ ঘিরে রাজ্য সরকারের পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। তিনি তখন বলেন, ‘‘এখানে এ কথা আলোচনা করব না। প্রশাসনের তরফে যতটুকু, যা পদক্ষেপ করার কথা, তা করা হচ্ছে। এর বাইরে আমার কিছু বলার নেই।’’

Advertisement

যাঁদের তরফে ভুয়ো নিয়োগপত্র পাওয়ার অভিযোগ তোলা হয়েছে, রাজ্য সরকার তাঁদের এবং সংশ্লিষ্ট ‘নিয়োগকারী সংস্থার’ সঙ্গে যোগাযোগ করবে কি না, আনন্দবাজার অনলাইনের তরফে সে প্রশ্ন করা হলেও সরাসরি জবাব দেননি ইন্দ্রনীল। তিনি বলেন, ‘‘আমি এখানে অন্য অনুষ্ঠানে এসেছি।’’

প্রসঙ্গত, গত সোমবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে রাজ্য সরকারের কর্মসূচিতে কারিগরি শিক্ষায় কৃতী ছাত্রছাত্রীদের হাতে বেসরকারি কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের নিয়োগপত্র’ দেওয়া হয়। অভিযোগ চাকরিপ্রার্থীরা অনেকেই দেখেন, নিয়োগপত্র নয়, তাঁদের যা দেওয়া হয়েছে তা প্রশিক্ষণের ‘অফার লেটার’। শুধু তাই নয়, সংশ্লিষ্ট বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করে কয়েক জন প্রার্থী দেখেন যে, সেগুলিও ভুয়ো! সূত্রের খবর বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই তৎপরতা শুরু হয়েছে নবান্নে।

শিক্ষা দফতরের নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে কেন্দ্রীয় সংস্থার আইনি পদক্ষেপের জেরে ইতিমধ্যেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতেও। তার পর এ বার ‘উৎকর্ষ বাংলা’ প্রকল্পের নিয়োগপত্র ঘিরে অভিযোগ ওঠায় বিতর্ক নতুন মাত্রা পেয়েছে। সেই সঙ্গে এ ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম বদলের প্রশ্ন তুলেছে বিরোধী দল বিজেপি। দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সম্প্রতি বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর স্কিল ডেভেলপমেন্ট কর্মসূচিকে ‘উৎকর্ষ বাংলা’ বলে চালালে সেটারও টাকা বন্ধ করে দেওয়ার সুপারিশ কেন্দ্রের কাছে করব।’’

আরও পড়ুন
Advertisement