Fake Passport Case

জাল পাসপোর্ট: কলকাতা পুলিশেরই প্রাক্তন এসআই পুলিশের জালে, এ পর্যন্ত গ্রেফতার মোট ন’জন

জাল পাসপোর্টকাণ্ডের তদন্তের সূত্রে শুক্রবার রাতে অশোকনগর থানা এলাকায় হানা দেয় কলকাতা পুলিশের একটি তদন্তকারী দল। রাত পৌনে ১২টা নাগাদ গ্রেফতার করা হয় প্রাক্তন এসআইকে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৪ জানুয়ারি ২০২৫ ১৩:১২
পাসপোর্ট জালিয়াতিকাণ্ডে আরও এক জনকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশ।

পাসপোর্ট জালিয়াতিকাণ্ডে আরও এক জনকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশ। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।

জাল পাসপোর্টকাণ্ডে গ্রেফতারি আরও বাড়ল। এ বার পুলিশের জালে খোদ কলকাতা পুলিশের প্রাক্তন এসআই! শুক্রবার রাতে উত্তর ২৪ পরগনা থেকে আব্দুল হাই নামের ৬১ বছরের ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি কলকাতা পুলিশের পাসপোর্ট সংক্রান্ত বিভাগে এসআই পদে কর্মরত ছিলেন। এ নিয়ে পাসপোর্টকাণ্ডে গ্রেফতারির সংখ্যা বেড়ে হল ন’জন।

Advertisement

কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, জাল পাসপোর্টকাণ্ডের তদন্তের সূত্রে শুক্রবার রাতে উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ার অশোকনগর থানা এলাকায় হানা দেয় তদন্তকারীদের একটি দল। রাত পৌনে ১২টা নাগাদ সেখান থেকে আব্দুলকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি অশোকনগরের কামারপুর গ্রামের বাসিন্দা। শনিবার তাঁকে আলিপুরের আদালতে হাজির করানো হবে।

কলকাতা পুলিশের সিকিউরিটি কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনের (এসসিও) সঙ্গে যুক্ত ছিলেন আব্দুল। ওই বিভাগ পাসপোর্টের জন্য প্রয়োজনীয় নথিপত্র যাচাই করে দেখত। পুলিশের অনুমান, এই বিভাগের অন্দরে থাকায় পাসপোর্ট জালিয়াতিতে সুবিধা করে দিতে পারতেন আব্দুল। তাঁকে দিয়ে অনেক কাজ করিয়ে নেওয়া হত। অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই সংক্রান্ত আরও তথ্য সংগ্রহ করবেন তদন্তকারী আধিকারিকেরা।

ভুয়ো পাসপোর্টের বিরুদ্ধে গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর ভবানীপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারা এবং পাসপোর্ট আইনে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে লালবাজার। অভিযোগ, ভুয়ো নথিপত্রের মাধ্যমে জাল পাসপোর্ট বানিয়ে দেওয়ার একটি চক্র চলছে। দীর্ঘ দিন ধরে এই চক্র সক্রিয়। কলকাতা এবং শহরতলির একাধিক এলাকায় হানা দিয়ে সন্দেহভাজনদের গ্রেফতার করেছেন তদন্তকারীরা। একাধিক গ্রেফতারি হয়েছে শুধু উত্তর ২৪ পরগনা থেকেই। পাসপোর্ট জালিয়াতির জাল কত দূর পর্যন্ত বিস্তৃত, কারা এর সঙ্গে যুক্ত, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত যত এগোচ্ছে, তত জালিয়াতি চক্রের জট খুলছে। বাড়ছে গ্রেফতারির সংখ্যা। ধৃত আব্দুলকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় পুলিশ। তাঁর মাধ্যমেই অন্য অভিযুক্তদের খোঁজ পাওয়া যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

Advertisement
আরও পড়ুন