ইভিএম মেশিন। নিজস্ব চিত্র
এ বারও ইভিএমেই হবে পুরভোট। গত বারের মতোই। ব্যালট পেপারে থাকছে না। থাকছে না ভিভিপ্যাটও। রাজ্য নির্বাচন কমিশন নিজের ইভিএমেই ভোট করাবে। এই ইভিএম মেশিনগুলো এম-১ ও এম-২ নামে পরিচিত। আগে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন এই ধরনের ইভিএম ব্যবহার করলেও, এখন আর ব্যবহার করে না। এখন তারা এম-৩ ইভিএম ব্যবহার করে।
আগামী মাসে কলকাতা ও হাওড়া পুরসভার ভোটগ্রহণ করতে পারে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। যদিও আইনি জটে তা এখনও অনিশ্চয়তার মুখে। তবুও সেই সময়কে ধরেই ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছে কমিশন। এ বারের ভোটে ব্যালট পেপার থাকছে না। রাজ্যের নিজের কেনা ইভিএমেই হবে সম্পূর্ণ ভোট। এখন চলছে ওই ইভিএম মেশিনগুলি চেকিংয়ের কাজ। তবে রাজ্যের এই মেশিনের সঙ্গে অনেক পার্থক্য রয়েছে কেন্দ্রীয় কমিশনের। কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের এক কর্তার কথায়, ‘‘রাজ্য এম-১ ও এম-২ নামে যে ইভিএমগুলি ব্যবহার করছে, আগে আমরাও তাই ব্যবহার করতাম। দুই মেশিনের মধ্যে অনেক প্রযুক্তিগত পার্থক্য রয়েছে। তা ছাড়া আমাদের ব্যবহৃত এম-৩ ইভিএম নিরাপত্তার দিক থেকে অনেক বেশি সুরক্ষিত।’’
সাধারণত কেন্দ্রের ব্যবহৃত সব ইভিএমের সঙ্গে ভিভিপ্যাট যুক্ত থাকে। কিন্তু রাজ্যের ব্যবহৃত এম-২ ইভিএমে ভিভিপ্যাট ব্যবহার করা গেলেও, কিছু ক্ষেত্রে তা সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই হয়তো এখন এম-১ ও এম-২ ইভিএমে ভিভিপ্যাটের ব্যবহার এড়িয়ে চলছে কমিশন। এই ধরনের সব ইভিএমই ভারতে তৈরি করে ভারত ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড ও ইলেকট্রনিক্স কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া নামে দু’টি সংস্থা। ওই সংস্থাগুলি সূত্রে জানা গিয়েছে, ইভিএমের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে বার বার অভিযোগ তোলা হয়। তাই দিন দিন ইভিএমে আরও উন্নত প্রযুক্তি তৈরি করা হচ্ছে। এর শেষ সংস্করণ এম-৩ ইভিএম। এ ছাড়া ওই ইভিএমগুলির মধ্যে দামের পার্থক্যও রয়েছে।
রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যাচ্ছে, আপাতত কলকাতা ও হাওড়া পুরসভায় ভোটগ্রহণ হবে। কলকাতার ১৪৪টি ওয়ার্ডে মোট বুথ রয়েছে ৪,৭০০। এর জন্য ৭,৩০০ ইভিএম ব্যবহার করা হবে। আর হাওড়ার ৫০টি ওয়ার্ডের ১২১৩টি বুথের জন্য ব্যবহার করা হবে ২,৫০০ ইভিএম।