ED Raid

অনুপ্রবেশের ‘কালো’ টাকা হাওয়ালার মাধ্যমে পাচার? বাংলা ও ঝাড়খণ্ডে ইডির হানা

ঝাড়খণ্ড এবং পশ্চিমবঙ্গের নানা জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছেন ইডির তদন্তকারী আধিকারিকেরা। তালিকায় রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রাম, বনগাঁ, ব্যারাকপুরও। ইডির নজরে রয়েছেন মধ্যমগ্রামের বাসিন্দা এক মহিলা।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা ও বারাসত শেষ আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০২৪ ১১:০৮
ইডির অভিযানের সময় বাড়ির বাইরে মোতায়েন কেন্দ্রীয় বাহিনী।

ইডির অভিযানের সময় বাড়ির বাইরে মোতায়েন কেন্দ্রীয় বাহিনী। — ফাইল চিত্র।

বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায় হাওয়ালার মাধ্যমে টাকা লেনদেনের অভিযোগে মঙ্গলবার রাজ্যের একাধিক জায়গায় তল্লাশি শুরু করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এই নিয়ে ঝাড়খণ্ডে একটি মামলা দায়ের হয়েছিল। ওই মামলার প্রেক্ষিতেই মঙ্গলবার ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গের নানা জায়গায় তল্লাশি শুরু করেছে ইডি। উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রাম, বনগাঁ, ব্যারাকপুর-সহ আরও একাধিক জেলায় পৌঁছে গিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

Advertisement

মধ্যমগ্রামের বাসিন্দা এক মহিলার বাড়িতে সকাল থেকে হানা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকেরা। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশ থেকে বেশ কয়েক জন মহিলাকে কাজের টোপ দিয়ে এ দেশে নিয়ে এসেছিলেন ওই মহিলা। চোরাপথেই তাঁদের আনা হয়েছিল ভারতে। কাজের প্রলোভন দিয়ে এ দেশে আনলেও শেষে তাঁদের বিভিন্ন অসাধু কাজে যুক্ত করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। পরে ওই চক্রের থেকে কয়েক জন পালিয়ে গিয়ে ঝাড়খণ্ডের একটি থানায় অভিযোগ জানান। মামলা দায়ের হয় পড়শি রাজ্যে। ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু করে ইডি। সূত্রের খবর, কলকাতা লাগোয়া আটটি জায়গা-সহ রাজ্যের ১২টি জায়গায় তল্লাশি চলছে।

ঝাড়খণ্ডে দায়ের হওয়া অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইডি তদন্তে উঠে আসে বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশের সঙ্গে মোটা অঙ্কের টাকার লেনদেনের বিষয়টি। পরে সেই কালো টাকা হাওয়ালার মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরিয়ে সাদা করার চেষ্টা হয়েছে বলে সন্দেহ তদন্তকারীদের। অনুপ্রবেশ ঘিরে কালো টাকার লেনদেনের তদন্তে একটি ক্যাব ব্যবসার তথ্যও ইডির হাতে উঠে এসেছে বলে সূত্রের খবর। যদিও এই অনুপ্রবেশ ও হাওয়ালার মাধ্যমে টাকা লেনদেনের সঙ্গে ক্যাব ব্যবসার কী ধরনের যোগ রয়েছে, তা এখনই স্পষ্ট নয়।

আরও পড়ুন
Advertisement