Bratya Basu

শূন্যপদ নিয়ে সিদ্ধান্ত ছিল মন্ত্রিসভারই, তার পর নির্দেশ শিক্ষাসচিবকে, জানালেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য

নতুন শূন্যপদ তৈরির প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, “ক্যাবিনেট সিদ্ধান্তর পর অবশ্যই আমি শিক্ষাসচিবকে আইনি পরামর্শ নিতে বলেছিলাম।” তবে এই বিষয়ে তিনি আর মন্তব্য করতে চাননি।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০২২ ১৭:০০
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।

শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। ফাইল চিত্র।

শিক্ষক নিয়োগে শূন্যপদ পূরণ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য মন্ত্রিসভাই। সেই সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে শিক্ষাসচিব মণীশ জৈনকে আইনি পরামর্শ নিতে বলা হয়েছিল। আনন্দবাজার অনলাইনকে এমনটাই জানালেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।

ব্রাত্য বলেন, “ক্যাবিনেট সিদ্ধান্তর পর অবশ্যই আমি সচিবকে আইনি পরামর্শ নিতে বলেছিলাম।” হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের শূন্যপদ সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে শুক্রবারই শিক্ষাসচিব মণীশ জৈন দাবি করেন যে, অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল ‘উপযুক্ত স্তর’ থেকে। এই ‘উপযুক্ত স্তরে’র মধ্যে নির্দিষ্ট করে ব্রাত্যের নাম উল্লেখ করেছিলেন তিনি। বলেছিলেন, “শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর তরফেও এ বিষয়ে (শূন্যপদ তৈরি) নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।”

Advertisement

এই প্রসঙ্গে ব্রাত্য জানান, আইনি বিষয়ে তিনি কোনও মন্তব্য করবেন না। কিছু বলার থাকলে তা উপযুক্ত জায়গা থেকেই বলবেন। তাঁর কথায়, “মাননীয় বিচারপতি আজ কী জানতে চেয়েছেন বা তাঁর কাছে শিক্ষাসচিব কী জানিয়েছেন, সব আদালতে হয়েছে। আইনি বিষয়। এ সবের আইনি ব্যাখ্যা থাকে। আমার এ নিয়ে এখন কিছু বলার নেই। কিছু বলার হলে নিশ্চয়ই উপযুক্ত জায়গা থেকে বলা হবে।”

প্রসঙ্গত, শুক্রবার হাই কোর্টের বিচারপতি শিক্ষাসচিবের কাছে জানতে চান, কাদের নির্দেশে নতুন করে শূন্যপদ তৈরি করা হয়েছিল। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন, কমিশনের নিয়ম মোতাবেক বেআইনি নিয়োগ যে করা যায় না, সে বিষয়ে শিক্ষাসচিব অবহিত কি না। প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষাসচিব সম্মতিসূচক উত্তর দেন। জানান যে, উপযুক্ত স্তর থেকে নিয়োগের বিষয়ে আইনজীবীদের পরামর্শ নেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। সেই মতো প্রশাসনের তরফে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল, আইনজীবী এবং স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যানের সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা করা হয় বলে তিনি জানান।

শিক্ষাসচিবের তরফে এই উত্তর শুনে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের কৌতূহলী প্রশ্ন, “অবৈধদের নিয়োগ করার বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন আইনজীবীরা?” উত্তরে মণীশ জানান, এমন কোনও পরামর্শ দেওয়া হয়নি। এর পর মণীশের উদ্দেশে বিচারপতির প্রশ্নবাণ, আপনার কি মনে হয় না যে, অবৈধদের বাঁচানোর জন্য এই অতিরিক্ত শূন্যপদ? অবৈধদের সরানোর কোনও সিদ্ধান্ত হয়েছিল?’’ এর উত্তরে শিক্ষাসচিব জানান, তাঁরা এ বিষয়ে আইন দফতরের সঙ্গে কথা বলেছেন।

Advertisement
আরও পড়ুন