Justice Abhijit Gangopadhyay

অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরির নির্দেশ দেন ব্রাত্য বসু! হাই কোর্টে দাবি করলেন শিক্ষাসচিব

হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রশ্নের উত্তরে শুক্রবার শিক্ষাসচিব দাবি করেন যে, অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল ‘উপযুক্ত স্তর’ থেকে।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০২২ ১৩:৪৫
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।

অবৈধ উপায়ে চাকরিপ্রাপকদের চাকরি যাবে না, নতুন করে শূন্যপদ তৈরি করে তাঁদের বহাল রাখা হবে। রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই মর্মে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল বলে আদালতে দাবি করেছেন রাজ্যের শিক্ষাসচিব মণীশ জৈন। হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রশ্নের উত্তরে শুক্রবার তিনি দাবি করেন যে, অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল ‘উপযুক্ত স্তর’ থেকে। এই ‘উপযুক্ত স্তরে’র মধ্যে নির্দিষ্ট করে ১ জনের নামই জানিয়েছেন মণীশ। বলেছেন “শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর তরফেও এ বিষয়ে (শূন্যপদ তৈরি) নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।”

Advertisement

বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় তাঁকে প্রশ্ন করেন, কমিশনের নিয়োগ মোতাবেক বেআইনি নিয়োগ যে করা যায় না, সে বিষয়ে শিক্ষাসচিব অবহিত কি না। প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষাসচিব সম্মতিসূচক উত্তর দেন। জানান যে, উপযুক্ত স্তর থেকে নিয়োগের বিষয়ে আইনজীবীদের পরামর্শ নেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। সেই মতো প্রশাসনের তরফে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল, আইনজীবী এবং স্কুল সার্ভিস কমিশেনর চেয়ারম্যানের সঙ্গে এই বিষয়ে আলাপ আলোচনা করা হয় বলে তিনি জানান।

শিক্ষাসচিবের তরফে এই উত্তর শুনে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের কৌতূহলী প্রশ্ন, “অবৈধদের নিয়োগ করার বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন আইনজীবীরা?” উত্তরে মণীশ জানান, এমন কোনও পরামর্শ দেওয়া হয়নি। এর পর মণীশের উদ্দেশে বিচারপতির প্রশ্নবাণ, আপনার কি মনে হয় না যে, অবৈধদের বাঁচানোর জন্য এই অতিরিক্ত শূন্যপদ? অবৈধদের সরানোর কোনও সিদ্ধান্ত হয়েছিল?’’ এর উত্তরে শিক্ষাসচিব জানান, তাঁরা এ বিষয়ে আইন দফতরের সঙ্গে কথা বলেছেন।

এ বিষয়ে আনন্দবাজার অনলাইনের তরফে যোগাযোগ করা হয় শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে। অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ক্যাবিনেট সিদ্ধান্তের পর অবশ্যই আমি সচিবকে আইনি পরামর্শ নিতে বলেছিলাম। তবে মাননীয় বিচারপতি আজ কী জানতে চেয়েছেন বা তাঁর কাছে শিক্ষাসচিব কী জানিয়েছেন, সব আদালতে হয়েছে। আইনি বিষয়। এগুলির আইনি ব্যাখ্যা থাকে। আমার এ নিয়ে এখন কিছু বলার নেই। কিছু বলার হলে নিশ্চয় উপযুক্ত জায়গা থেকে বলা হবে।”

Advertisement
আরও পড়ুন