(বাঁ দিকে) শাহজাহান শেখের বাড়ির দরজায় ইডির নোটিস। সন্দেশখালিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী (ডান দিকে)। — নিজস্ব চিত্র।
সন্দেশখালিতে শাহজাহান শেখের বাড়িতে নোটিস সেঁটে দিল ইডি। শাহজাহানকে আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে।
সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শাহজাহানকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। গত ৫ জানুয়ারি রেশন ‘দুর্নীতি’কাণ্ডে তাঁর বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে গিয়েছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা। সে দিন ইডি আধিকারিকেরা নেতার বাড়িতে ঢুকতেই পারেননি। উল্টে বাড়ির বাইরে তাঁরা আক্রান্ত হন। নেতার অনুগামীরা ইডি আধিকারিকদের উপরে চড়াও হন এবং তিন জনকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়। তার ১৮ দিন পরে বুধবার আবার সন্দেশখালি অভিযানে গিয়েছিল ইডি।
৫ জানুয়ারি থেকেই শাহজাহানের কোনও সন্ধান নেই। ইডির সন্দেহ, তিনি বাংলাদেশে গা ঢাকা দিয়েছেন। বুধবার তালা ভেঙে তাঁর বাড়িতে ঢোকে ইডি। ভাঙা হয় আলমারিও। ভিতরে চিরুনিতল্লাশি চালানো হয়। তার পর দুপুরে ইডি আধিকারিকেরা ওই বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন। তবে যাওয়ার আগে বাড়ির দরজায় সেঁটে দেওয়া হয়েছে নোটিস।
তাতে লেখা আছে, রেশন মামলায়
শাহজাহানের হাজিরা জরুরি। তাই ২০০২ সালের আর্থিক তছরুপ বিরোধী আইনের ধারা অনুযায়ী,
২৯ জানুয়ারি সকাল ১১টার মধ্যে শাহজাহানকে কলকাতায় ইডি দফতরে হাজিরা দিতে হবে।
সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে বেশ কিছু নথিও। শাহজাহানকে ইডি দফতরে যাওয়ার সময়ে সঙ্গে রাখতে হবে আধার কার্ড, পাসপোর্ট, ভোটার কার্ড, প্যান কার্ড এবং নিজের পাসপোর্ট আকারের ছবি। আপাতত শাহজাহানের বাড়িটি সিল করে দিয়ে গেলেন ইডি আধিকারিকেরা।
পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে বুধবার প্রস্তুত হয়েই সন্দেশখালিতে পা রেখেছিল ইডি। আবার যাতে তাদের বিক্ষুব্ধ জনতার রোষের মুখে পড়তে না হয়, তার জন্য বুধবার ইডির সঙ্গে ছিল পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী। সন্দেশখালির ঘটনায় তিনটি এফআইআর দায়ের হয়েছিল ন্যাজাট থানায়। তার মধ্যে একটি ছিল ইডির বিরুদ্ধে। কলকাতা হাই কোর্ট সেই এফআইআরের তদন্তে স্থগিতাদেশ দিয়েছে। সেই সঙ্গে ন্যাজাট থানাকে ভর্ৎসনাও করে আদালত। ইডি জানিয়েছে, সে দিন শাহজাহান বাড়িতেই ছিলেন। ভিতর থেকে ফোন করে ইডির বিরুদ্ধে বাইরে লোক জড়ো করেন তিনি। তার পর পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যান। এখনও তাঁকে ধরা যায়নি।