West Bengal Ration Distribution Case

রেশন মামলায় আবার তৎপর ইডি, কলকাতা-সহ কয়েকটি জায়গায় হানা! নজরে বাঙুরের এক ব্যবসায়ী

গত ২৮ সেপ্টেম্বর এই মামলায় অতিরিক্ত চার্জশিট জমা করেছিল ইডি। সেখানে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা দাবি করে, রেশন মামলায় এক হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০২৪ ০৯:৫১

প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

রেশন ‘দুর্নীতি’ মামলায় আবার তৎপর ইডি। বুধবার সকাল থেকে তল্লাশি অভিযানে নেমে পড়েছেন ইডি আধিকারিকেরা। কলকাতা, হাওড়া-সহ বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে। সূত্রের খবর, মোট ১৪ জায়গায় একযোগে হানা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকেরা।

Advertisement

বুধবার সকালে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার একাধিক দল বেরিয়েছে ইডি দফতর থেকে। সকাল সকালই তাদের একটি দল পৌঁছে যায় কলকাতার বাঙুরের এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে। মহেন্দ্র আগরওয়াল নামে ওই ব্যবয়ায়ীর সঙ্গে রেশন বণ্টন দুর্নীতিতে কী যোগ রয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। বাঙুর এলাকাতেই ওই ব্যবসায়ীর দু’টি বাড়ি আছে। একযোগে দু’জায়গাতেই তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে খবর। খতিয়ে দেখা হচ্ছে বিভিন্ন নথি। সূত্রের খবর, ওই ব্যবসায়ীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন ইডি আধিকারিকেরা।

বাঙুর ছাড়াও হাওড়ার একাধিক জায়গায় হানা দিয়েছেন ইডি আধিকারিকেরা। পাঁচলার এক রেশন ডিলারের বাড়িতেও হানা দিয়েছে ইডির অন্য একটি দল। প্রথমে লোকনাথ সাহা নামে ওই ডিলারের বাড়ি যান ইডি আধিকারিকেরা। তার পর তাঁকে নিয়ে তাঁর গোডাউনে হানা দেয়। এলাকার বেশ কয়েকটি রেশন দোকানে খাদ্যসামগ্রী সরবরাহ হয় তাঁর গোডাউন থেকেই। সেই সংক্রান্ত বিষয়েই তদন্ত করতে এই তল্লাশি অভিযান বলে মনে করা হচ্ছে। এ ছাড়াও ইডির একটি দল উলুবেরিয়া শহরের উত্তর জগদীশপুরে রেশন ডিলার বটকৃষ্ণ ঘোষের একাধিক গোডাউনে হানা দেয়। পাশাপাশি, জগৎবল্লভপুর সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির অফিসেও যান ইডি আধিকারিকেরা।

উল্লেখ্য, রেশন মামলায় গত সেপ্টেম্বরেও রাজ্যের সাত জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। একাধিক চালকলে পৌঁছে গিয়েছিলেন ইডি আধিকারিকেরা। গত ২৮ সেপ্টেম্বর এই মামলায় অতিরিক্ত চার্জশিট জমা করেছিল ইডি। সেখানে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা দাবি করে, রেশন মামলায় এক হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। ইডি নতুন চার্জশিটে মোট আটটি নাম যোগ করে। গত ২ অগস্ট রেশন ‘দুর্নীতি’ মামলায় দেগঙ্গার তৃণমূল নেতা আনিসুর রহমান এবং তাঁর ভাই আলিফ নুর ওরফে মুকুল রহমানকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। অতিরিক্ত চার্জশিটে তাঁদের নাম রয়েছে। এ ছাড়াও আরও দুই ডিলারের নাম রয়েছে এই চার্জশিটে। ইডির দাবি, তাঁরা রহমান ভাইদের সঙ্গে ব্যবসায়িক কারণে যুক্ত। পাশাপাশি, তাঁদের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত চারটি সংস্থার কথাও চার্জশিটে উল্লেখ করেছে ইডি।

আরও পড়ুন
Advertisement