নিউ টাউনে প্রসন্ন রায়ের অফিসে ইডির তল্লাশি চলছে। — নিজস্ব চিত্র।
নিউ টাউনে প্রসন্ন রায়ের অফিসে এখনও চলছে ইডির তল্লাশি অভিযান। সকাল পৌনে ৭টা নাগাদই সেখানে পৌঁছে গিয়েছিলেন ইডি আধিকারিকেরা। ১৫ ঘণ্টা পরেও তল্লাশি শেষ হয়নি। রাত সাড়ে ৮টার পর প্রসন্ন এবং তাঁর স্ত্রীকেও ওই অফিসে নিয়ে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় আধিকারিকেরা।
ইডি সূত্রে খবর, নিউ টাউনের অফিস থেকে বহু নথিপত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এসএসসি নিয়োগের সঙ্গে তার যোগ থাকতে পারে। উদ্ধার হওয়া নথি নিয়ে যাওয়ার জন্য বড় বাক্স আনিয়েছে ইডি।
এসএসসি নিয়োগ ‘দুর্নীতি’তে জড়িত থাকার অভিযোগে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন প্রসন্ন। তাঁকে ‘মিডলম্যান’ বলে উল্লেখ করেছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা। পরে তিনি জামিনে মুক্তি পান। তাঁর ফ্ল্যাট এবং অফিসে বৃহস্পতিবার সকালে হানা দেয় ইডি। এর আগে ইডি প্রাথমিকের ‘দুর্নীতি’ মামলায় তদন্ত করছিল। প্রসন্নের ফ্ল্যাটের সূত্র ধরে এসএসসি মামলার তদন্তেও তারা সক্রিয় হল।
প্রসন্নের ফ্ল্যাট, অফিস-সহ মোট সাতটি জায়গায় বৃহস্পতিবার ভোরবেলা তল্লাশি অভিযানে যায় ইডি। নিউ টাউনের যে অফিসে রাতে প্রসন্নদের নিয়ে ঢুকেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা, সেখানে প্রায় তিন ঘণ্টা অপেক্ষা করার পর তারা চাবি পায় এবং তল্লাশি শুরু করে। ভ্রমণ সংস্থার অফিস রয়েছে সেখানে। গাড়ি এবং হোটেল বুকিংয়ের ব্যবসা চলে। এর উপরের তলায় আরও একটি অফিসের খোঁজ পায় ইডি। প্রায় আট ঘণ্টা পর সেখানে তারা ঢুকতে পেরেছিল। সেখানে প্রসন্নের টাইল্সের ব্যবসা রয়েছে বলে খবর। এই অফিসেই রাতে প্রসন্ন এবং তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে আসা হয়েছে।
নিউ টাউনে প্রসন্নের ফ্ল্যাট এবং অফিস ছাড়াও নয়াবাদে রোহিত ঝা নামে এক পরিবহণ ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দেয় ইডি। তল্লাশি চালানো হয় প্রসন্নের সহকারী প্রদীপ সিংহের বাড়িতেও। এ ছাড়া নিউ টাউনের পাথরঘাটা এলাকার একটি বাগানবাড়িতে দুপুরের পর তল্লাশি শুরু হয়। সে সব জায়গা থেকে ইতিমধ্যে ইডির দল বেরিয়ে গিয়েছে। তল্লাশি চলছে কেবল নিউ টাউনের একটি অফিসে।
এসএসসি নিয়োগের উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন প্রধান শান্তিপ্রসাদ সিন্হার ‘ঘনিষ্ঠ’ ছিলেন এই প্রসন্ন। আবার রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গেও তাঁর যোগাযোগ ছিল। ইডি সূত্রে খবর, প্রসন্ন একাধিক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। প্রসন্ন এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে বহু সম্পত্তি রয়েছে।