শাহজাহান শেখ। —ফাইল চিত্র।
সন্দেশখালিকাণ্ডের পরেই শাহজাহান শেখের ভাই সিরাজুদ্দিন শেখের নাম নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছিল। একাধিক বার তাঁকে সমন পাঠিয়ে হাজিরা দিতে বলেছিল ইডি। কিন্তু প্রতি বারই হাজিরা এড়ান সিরাজউদ্দিন। এ বার সেই সিরাজউদ্দিনের বিরুদ্ধে লুক আউট সার্কুলার জারি করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। ইডির তদন্তকারীদের আশঙ্কা, তদন্ত থেকে বাঁচতে বিদেশে পালানোর চেষ্টা করে থাকতে পারেন সিরাজউদ্দিন। তিনি যাতে দেশ ছাড়তে না পারেন, সে কারণে দেশের সব বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করেছে ইডি। পাঠানো হয়েছে সিরাজউদ্দিনের ছবি এবং তাঁর সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও।
সন্দেশখালি এবং ন্যাজাট থানায় ২০১৮ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত মহিলা নির্যাতন, জমির জবরদখল, স্থানীয় বাসিন্দাদের উপর জুলুমবাজির যে সমস্ত অভিযোগ দায়ের হয়েছে, তার মধ্যে শাহজাহান ছাড়া নাম ছিল শিবু হাজরা এবং অন্যদের। ইডি সূত্রে খবর, সেই মামলার তদন্তের সূত্রেই তাঁকে একাধিক বার তলব করা হয়েছিল।
এর আগে শাহজাহানের আর এক ভাই আলমগিরকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। রবিবার রাতে জিজ্ঞাসাবাদের পর ‘শোন অ্যারেস্ট’ দেখিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করে ইডিও। একই সঙ্গে গ্রেফতার করা হয় শাহজাহানের দুই শাগরেদ শিবু হাজরা এবং দিদারবক্স মোল্লাকে।
ইডি সূত্রে আগেই জানা গিয়েছিল, ওই তিন জনকেই হেফাজতে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তদন্তকারীদের। তবে যে মামলায় সিবিআই বা রাজ্য পুলিশ এঁদের গ্রেফতার করেছিল, সেই মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে নয়, ইডি শাহজাহানের ভাই এবং তাঁর দুই শাগরেদকে হেফাজতে চেয়েছিল রেশন দুর্নীতিকাণ্ড-সহ সন্দেশখালির জমি দখল এবং ভেড়ি দখল সংক্রান্ত মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করতে। ইডি সূত্রে খবর, ওই মামলাতেই সিরাজকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়েছিলেন তদন্তকারীরা।