মুকুল রায় এবং শুভ্রাংশু রায় (বাঁ দিক থেকে) —ফাইল চিত্র।
চিটফান্ড মামলার তদন্তে বিধায়ক মুকুল রায়ের বাড়িতে গেলেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডির আধিকারিকেরা। সোমবার মুকুলের উত্তর ২৪ পরগনার কাঁচরাপাড়ার বাড়িতে যায় ইডি। সূত্রের খবর, বেশ কিছু ক্ষণ কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়কের সঙ্গে কথা বলেন তদন্তকারীরা। মুকুলের পুত্র বীজপুরের প্রাক্তন বিধায়ক শুভ্রাংশু রায় বলেন, ‘‘তদন্তকারীদের পূর্ণ সহযোগিতা করা হয়েছে। তদন্তে তাঁরা খুশি।’’ যদিও শুভ্রাংশু জানান, সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ যখন ইডির আধিকারিকেরা তাঁদের বাড়িতে আসেন, তখন তিনি বাড়িতে ছিলেন না।
মুকুল এখন তাঁর কাঁচরাপাড়ার বাড়িতেই থাকেন। ডিমেনশিয়া রোগে ভুগছেন বিধায়ক। এই অবস্থায় বিজেপি থেকে আবার তৃণমূলে যোগ দেওয়া মুকুলকে ইডি নোটিস পাঠায় কিছু দিন আগে। পুরনো চিটফান্ড মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দিল্লিতে ইডির সদর দফতরে মুকুলকে ডেকে পাঠানো হয়েছে তাঁর বয়ান রেকর্ডের জন্য। যার প্রেক্ষিতে মুকুলের অসুস্থতার কথা জানিয়ে ইডিকে চিঠি দেয় মুকুলের পরিবার। তার পরই সোমবার ইডির তিন আধিকারিক বিধায়কের বাড়িতে আসেন। এ নিয়ে মুকুল-পুত্র শুভ্রাংশু বলেন, ‘‘আমরা প্রথম দিন থেকেই বলে এসেছি যে, সহযোগিতা করব। আমরা চিঠি দেওয়ার পর ওরা বলে বাড়িতে আসবে। আজ এসেছিল। কথাবার্তা বলে গিয়েছে। ওরা আড়াই-তিন ঘণ্টা ছিল। পুরোপুরি সহযোগিতা করা হয়েছে। আমি বাড়িতে ছিলাম না। একটা কাজে বাইরে ছিলাম। শুনেছি ওরা খুশি।”
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি মুকুলকে তলবের পরই শুভ্রাংশু জানান, তাঁর বাবা অসুস্থ। তিনি কোনও ভাবেই দিল্লিতে যাওয়ার অবস্থায় নেই। তখনই তিনি বলেছিলেন, চাইলে ইডি বাড়িতে আসতে পারে। এর পর ইডির দফতরে চিঠি দিয়েও বিষয়টি জানান মুকুল-পুত্র। দ্বিতীয় চিঠির ভিত্তিতে ইডি মুকুলের বাড়িতে এসে জিজ্ঞাসাবাদে রাজি হয়।