Shahjahan Sheikh

‘সন্দেশখালিতে শেষ কথা আমিই! এমএলএ, এমপি সব ঠিক করি’, বলেছেন শাহজাহান, দাবি করল ইডি

শনিবারই আদালতে শাহজাহান দাবি করেছেন, ইডি তাঁকে মাদক মামলায় ফাঁসানোর ভয় দেখিয়ে জোর করে বয়ান লিখিয়ে নিয়েছে। বয়ান প্রত্যাহারও করতে চেয়েছেন সন্দেশখালির বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০২৪ ১৮:৫৮
শাহজাহান শেখ।

শাহজাহান শেখ। —ফাইল চিত্র।

সন্দেশখালিতে তিনিই শেষ কথা। সেখানকার বিধায়ক থেকে শুরু করে সাংসদ, কে কোন পদে দাঁড়াবেন এবং নির্বাচিত হবেন, সব তিনিই ঠিক করে দেন। শাহজাহান শেখ জেরায় এমনটাই জানিয়েছেন বলে দাবি করেছে ইডি। সূত্রের খবর, আদালতে ইডি তাদের বক্তব্য লিখিত আকারে জমা দিয়েছে, সেখানেই শাহজাহানের এই দাবির কথা জানানো হয়েছে। অন্য দিকে, ইডি হেফাজতে জোর করে বয়ান লিখিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করে শনিবারই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন শাহজাহান নিজে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে তিনি যে বয়ান দিয়েছেন, তা-ও প্রত্যাহার করতে চাইছেন বলে শাহজাহানের আইনজীবী জাকির হুসেন শনিবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে জানিয়েছেন।

Advertisement

শনিবার সন্দেশখালি মামলার শুনানি ছিল আদালতে। শাহজাহানের বিচার বিভাগীয় হেফাজত চেয়ে আবেদন জানান ইডির আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী। সূত্রের খবর, ইডি লিখিত আকারে আদালতকে জানিয়েছে, শাহজাহান তাদের কাছে জেরায় কী কী বলেছেন। ইডির সেই বক্তব্য অনুযায়ী, জেরায় শাহজাহান তদন্তকারী আধিকারিকদের জানিয়েছেন, সন্দেশখালি এলাকায় তিনিই শেষ কথা। সেখানে তাঁর কথাতেই সব কাজ হয়। যে কোনও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন শাহজাহানই। এমনকি, তৃণমূলের শীর্ষস্থানীয় নেতারাও সন্দেশখালির বিষয়ে তাঁর কথাই শুনে চলতেন বলে জানিয়েছেন দল থেকে বহিষ্কৃত এই নেতা।

ইডির দাবি, শাহজাহান জানিয়েছেন, সন্দেশখালিতে পঞ্চায়েত স্তর থেকে লোকসভা স্তর পর্যন্ত কে প্রার্থী হবেন, কে ভোটে জিতবেন, তা তিনিই ঠিক করে দিতেন। তাঁর অমতে কোনও কাজই হত না। দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব তাঁর মতামতকেই প্রাধান্য দিতেন।

ইডি হেফাজতে থাকাকালীন শাহজাহানকে জেরা করে আরও সম্পত্তির হদিস পাওয়া গিয়েছে বলেও আদালতের কাগজে দাবি করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। শাহজাহানের নামে গেস্ট হাউস-সহ একাধিক সম্পত্তির হদিস পাওয়া গিয়েছে, যার মূল্য কয়েক কোটি টাকা।

ইডির এই দাবির দিনই শাহজাহান আইনজীবী মারফত আদালতে পাল্টা দাবি করেছেন, ইডি হেফাজতে তাঁকে দিয়ে জোর করে বয়ান লিখিয়ে নেওয়া হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, বয়ান না দিলে তাঁকে এবং তাঁর পরিবারকে মিথ্যা মাদক এবং মহিলা পাচার মামলায় জড়িয়ে দেওয়া হবে বলেও ইডি ভয় দেখিয়েছে বলে দাবি শাহজাহানের। সেই কারণেই তিনি ইডিকে বয়ান দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। ওই বয়ান প্রত্যাহারও করতে চেয়েছেন সন্দেশখালির বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা। আদালতে শাহজাহানের আবেদনের বিরোধিতা করেছেন ইডির আইনজীবী।

আরও পড়ুন
Advertisement