গ্রাফিক— সনৎ সিংহ
তাদের ভয়েই রক্ষাকবচ চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন অভিযুক্তরা। কিন্তু এ বার খোদ ইডি-ই রক্ষাকবচের প্রার্থী! কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থা বৃহস্পতিবার কলকাতা হাই কোর্টের কাছে ওই রক্ষাকবচের আর্জি জানিয়েছে। ইডির আবেদন, তাঁদের কর্তাদের বিরুদ্ধে যেন কোনও কড়া পদক্ষেপ না করা হয়। তবে কি এ বার ‘ভয়’ পেল ইডি-ই?
বৃহস্পতিবারই হাই কোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিংহের বেঞ্চে শুনানি হতে পারে এই মামলাটির। যদিও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ওই রক্ষাকবচের আবেদন শেষ পর্যন্ত হাই কোর্ট গ্রহণ করবে কি না, তা এখনও স্পষ্ট করেননি বিচারপতি। বরং আবেদনকারী কেন্দ্রীয় সংস্থাকে তিনি পাল্টা প্রশ্ন করেছেন। জানতে চেয়েছেন, ‘‘আপনারা কি সত্যিই মনে করেন এই আদালত ওই রক্ষাকবচ দিতে পারে?’’
আর্থিক দুর্নীতির তদন্তকারী কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি। বৃহস্পতিবার সকালেই হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় তারা। আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ইডির আইনজীবী ধীরজ ত্রিবেদী বলেন, ‘‘বাংলায় নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে হয়রানির শিকার হচ্ছেন তাঁদের কর্তারা।’’ এমনকি, বার বার ইডির অফিসারদের চিঠি পাঠিয়ে হেনস্থা করা হচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি। আদালতকে তিনি জানান, এই সব কিছুর মূলে রয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংস্থা বলে পরিচিত লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডসের দফতরে ইডির তল্লাশির ঘটনাটি।
বিচারপতিকে ইডি বলে, লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডস কোম্পানির কম্পিউটারে ডাউনলোড করা ১৬টি ফাইল নিয়ে ইডির অফিসারদের হয়রানি করে চলেছে কলকাতা পুলিশ। বার বার চিঠি পাঠাচ্ছে তারা। তাই ইডির অফিসারদের রক্ষাকবচ দেওয়ার আর্জি জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে তারা।
ইডির এই আবেদন শোনার পর মামলা ফাইল করার অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি সিংহ। বৃহস্পতিবার কিছু ক্ষণ পরেই মামলাটির শুনানি হতে পারে। বিচারপতি অবশ্য জানিয়েছেন, কোর্ট এই আবেদনটি গ্রহণ করবে কি না শুনানিতে স্পষ্ট হবে। বিচারপতি বলেন, ‘‘আপাতত মামলা ফাইল করুন। পরে আদালত সিদ্ধান্ত নেবে।’’