DYFI Brigade Rally

ব্রিগেডে বুদ্ধ-বার্তা কি আসবে? চেষ্টায় সিপিএমের যুবরা, তবে সবটাই নির্ভর করছে তাঁর স্বাস্থ্যের উপর

বুদ্ধদেব শেষ বার ব্রিগেডে হাজির হয়েছিলেন ২০১৯ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি। পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়ি থেকে এসে মঞ্চের নীচে গাড়িতেই বসেছিলেন বর্ষীয়ান সিপিএম নেতা। নাকে লাগানো ছিল অক্সিজেনের নল।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৪:৫৪
DYFI Brigade Rally

প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। —গ্রাফিক সনৎ সিংহ।

নতুন বছরের দ্বিতীয় রবিবার ব্রিগেডে সমাবেশ ডেকেছে সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই। সেই সমাবেশে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সংগঠনের প্রাক্তনী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের বার্তা পেতে চেষ্টা চালাচ্ছে দীনেশ মজুমদার ভবন। তবে সবটাই নির্ভর করছে বুদ্ধদেবের স্বাস্থ্যের উপর। কারণ তিনি কতটা কথা বলার অবস্থায় থাকেন তার উপর নির্ভর করবে বার্তার বিষয়টি। তবে সমগ্র বিষয়টি যে পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে, তা স্বীকার করে নিয়েছেন যুব সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায়।

Advertisement

বুদ্ধদেব শেষ বার ব্রিগেডে হাজির হয়েছিলেন ২০১৯ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি। তার আগে থেকেই তিনি গৃহবন্দি। সেই সভায় পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়ি থেকে এসে মঞ্চের নীচে গাড়িতেই বসেছিলেন বর্ষীয়ান সিপিএম নেতা। নাকে লাগানো ছিল অক্সিজেনের নল। মিনিট ১৫ থেকেই ফের ফিরে গিয়েছিলেন বাড়িতে। তার পরে ২০২১ সালের ভোটের সময়ে বুদ্ধদেবের একটি অডিয়ো বার্তা প্রচার করেছিল সিপিএম। সেখানে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর গলা ছিল ভাঙা। এ বার অডিয়ো বার্তা না হলেও একটি সংক্ষিপ্ত লিখিত বার্তা পেতে চাইছে সিপিএমের যুব সংগঠন। কিন্তু তিনি কথা বলার অবস্থায় কতটা থাকবেন, তার উপর পুরোটা নির্ভর করছে। শেষ বার বুদ্ধদেব ব্রিগেডে এসেছিলেন প্রায় পাঁচ বছর আগে। এই পাঁচ বছরে তাঁর যেমন শরীর ভেঙেছে, তেমনই বার তিনেক তাঁকে হাসপাতালেও ভর্তি থাকতে হয় বেশ কয়েক দিন করে। গত অগস্টেও তাঁকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকতে হয়েছিল।

প্রসঙ্গত, ডিওয়াইএফআই সর্বভারতীয় সংগঠন হওয়ার আগে বাংলারই সংগঠন ছিল। সেই সংগঠনের নাম ছিল ডিওয়াইএফ। ১৯৬৭ সালে তৈরি সেই সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন বুদ্ধদেব। সভাপতি ছিলেন দীনেশ মজুমদার। যাঁর নামে সিপিএমের ছাত্র-যুব রাজ্য দফতর নামাঙ্কিত। উল্লেখ্য, শনিবার পর্যন্ত ৭ জানুয়ারি ব্রিগেডে সভার বিষয়ে ফোর্ট উইলিয়ামের তরফে আনুষ্ঠানিক অনুমতি পায়নি সিপিএমের যুব সংগঠন। সেই কারণেই শনিবার পর্যন্ত বক্তাতালিকাও চূড়ান্ত করতে পারেননি মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায়রা। যদি একান্তই ব্রিগেডে সভার অনুমতি না পাওয়া য়ায় তা হলে বিকল্প পথে হাঁটতে হবে সিপিএমকে। তবে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট আশাবাদী, শেষ মুহূর্তে হলেও ব্রিগেডে সভা করার অনুমতি পাওয়া যাবে। সেই সভায় বুদ্ধদেবের বার্তা পেতে চাইছেন মিনাক্ষীরা। এক সিপিএম নেতার কথায়, ‘‘এখনও বুদ্ধদার নামে ব্রিগেড উদ্বেল হতে পারে। এই প্রজন্ম যে ইনসাফ যাত্রা করেছে, সে বিষয়ে তিনি অবহিত। সব ঠিক থাকলে সেই বার্তা আসবে।’’

আরও পড়ুন
Advertisement