সোমবার বাজ পড়ে বেশ কিছু মানুষের মৃত্যু হয়েছে রাজ্যে। বর্ষার আগে আকাশে কিউমিউলোনিম্বাস মেঘের আনাগোনায় বাজ পড়ার অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হয়।
মূলত ‘ক্লাউড টু গ্রাউন্ড লাইটেনিং’ বা মেঘ থেকে মাটিতে নেমে আসা বজ্রপাতের কারণে মানুষের প্রাণ যায়।
আবহাওয়ার উপর মানুষের নিয়ন্ত্রণ না থাকলেও বাজ পড়ার সময় কিছু সাবধানতা অবলম্বন করাই শ্রেয় বলেই বিশেষজ্ঞদের মত।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাটমোসফেরিক সায়েন্সের অধ্যাপক সুব্রত মিদ্যা জানাচ্ছেন, ‘‘বাজ পড়ার সময় অনেকেই বাড়ির বাইরে বা মাঠে থাকেন। এ ক্ষেত্রে বাড়ি বা কাছাকাছি কোনও ঘরে আশ্রয় নেওয়া সবচেয়ে নিরাপদ।’’ কিন্তু তা না পাওয়া গেলে কিছু সাবধানতা অবলম্বন করা যেতে পারে।
মার্চ, এপ্রিল, মে এবং জুন মাসে বর্ষা আসার আগে বাজ পড়ে বেশি। এই সময়ে আবহাওয়া দফতরের সতর্কবার্তার প্রতি খেয়াল রাখা দরকার।
খোলা জায়গায় থাকলে, বাজ পড়ার সময় যতটা সম্ভব নিজেকে সঙ্কুচিত করে বা কুঁজো হয়ে মাটিতে বসে পড়লে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।
না শুয়ে যতটা সমম্ভব নীচু হয়ে মাটির কাছাকাছি থাকলেও বাজের কবল থেকে রক্ষা পাওয়া যেতে পারে।
ছাদযুক্ত চার দেওয়ালের ঘর এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে নিরাপদ আশ্রয়। ঘরে থাকলে বাজ থেকে বাঁচার সম্ভাবনা বেশি।
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হতে পারে, এমন যে কোনও জিনিস থেকে দূরে থাকা প্রয়োজন।
বাজ পড়া কালীন সময়ে কখনই ফাঁকা মাঠে থাকবেন না।
বজ্রপাতের সময় গাছের তলায় আশ্রয় নেবেন না।
বেশি উচ্চতার জায়গায় বাজ পড়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই এই সময় উচুঁ কাঠামো, পোলের কাছে না থাকাই শ্রেয়।
বজ্রপাতের সময় গাড়ি মধ্যে থাকাও সম্পূর্ণ নিরাপদ নয়।
বাজ পড়ার সময়ে কিছুতেই জলে বা পুকুরে থাকবেন না।