Dilip Ghosh- Humayun Kabir

দা হাতে ‘মেজাজে’ দিলীপ, সমর্থনে তৃণমূলের হুমায়ুন

তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, দিলীপের খড়্গপুরের মন্তব্যকে সমর্থন করেছেন মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক হুমায়ুন কবীর! তবে হুমায়ুনের ‘পাশে দাঁড়ানো’কে আমল দিচ্ছেন না খোদ দিলীপ।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৬ মার্চ ২০২৫ ০৫:২৭
(বাঁ দিকে) দিলীপ ঘোষ। হুমায়ুন কবীর (ডান দিকে)।

(বাঁ দিকে) দিলীপ ঘোষ। হুমায়ুন কবীর (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

তাঁর বক্তব্য নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে যতই ‘ঝড়’ উঠুক, তিনি যে ‘মেজাজে’ই আছেন, তা ফের স্পষ্ট করে দিলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ! খড়্গপুরে ‘হুঁশিয়ারি’ দিয়ে বিতর্কে জড়ানোর পরে মঙ্গলবার পূর্ব বর্ধমানে দা হাতে ধরা দিয়েছেন তিনি। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, দিলীপের খড়্গপুরের মন্তব্যকে সমর্থন করেছেন মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক হুমায়ুন কবীর!

Advertisement

দিলীপ এ দিন পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার অগ্রদ্বীপ মেলায় গিয়ে একটি দা কিনেছেন। তার পরেই সেই দা দেখিয়ে তাঁর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য, “দা অনেক কাজে লাগে। এক দা দিয়ে সব কাজ হয়ে যাবে!” ঘটনাচক্রে, অতীতে কখনও তরোয়াল, কখনও বা গদা হাতেও দেখা গিয়েছিল দিলীপকে।

এর আগে খড়্গপুরে সাংসদ তহবিলের টাকায় তৈরি রাস্তার উদ্বোধন করতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে মহিলাদের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি দিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন প্রাক্তন সাংসদ দিলীপ। তাঁর বিরুদ্ধে সরব হয়েছিল তৃণমূল। কিন্তু এ দিন শাসক দলেরই বিধায়ক হুমায়ুন বলেছেন, “দিলীপ দা’র বক্তব্যকে সমর্থন করি। সাংসদ তহবিলের টাকায় রাস্তা উদ্বোধন করতে গিয়েছিলেন উনি। বাধা দেওয়ার কী ছিল?” এর পরেই তিনি বলেন, “যা করেছেন, ঠিক করেছেন। আমি থাকলেও একই করতাম। কেউ ইট মারলে আমি তো রসগোল্লা দেব না!” এই সূত্রেই বিজেপিতে ‘কোন্দলে’র দাবি করে শুভেন্দু অধিকারীদের জন্য গত লোকসভা ভোটে আসন-বদলের খেসারত দিলীপ দিয়েছেন বলেও মন্তব্য করেছেন হুমায়ুন। ঘটনাচক্রে, এই হুমায়ুনই সম্প্রতি বিরোধী দলনেতার হুঁশিয়ারির প্রেক্ষিতে মন্তব্য করে দলে প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন।

তবে হুমায়ুনের ‘পাশে দাঁড়ানো’কে আমল দিচ্ছেন না খোদ দিলীপ। ‘মেজাজে’ থাকা দিলীপ বলছেন, “দিলীপ ঘোষ একাই আছে, দলের সঙ্গে আছি। আমার সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব। কারও শংসাপত্র দরকার নেই আমার!” আর প্রদেশ কংগ্রেসের মুখপাত্র সৌম্য আইচ রায়ের মতে, ‘‘হুমায়ুনকে তৃণমূলই বাজারে নামিয়েছে বিজেপির পালে হাওয়া দেওয়ার জন্য। মাঝে মাঝে লোক-দেখানো শো-কজ়, সতর্ক করা হয়। কিন্তু আরএসএসের তৈরি চিত্রনাট্যেই বাংলায় বিজেপি ও তৃণমূল চলছে।’’

Advertisement
আরও পড়ুন