ঝাড়গ্রামের সার্কাস ময়দানে বিজেপি-র সমাবেশ। —নিজস্ব চিত্র।
দিল্লিতে কৃষক আন্দোলন প্রসঙ্গে তৃণমূলকে এ বার আক্রমণ করলেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বুধবার ঝাড়গ্রামের সার্কাস ময়দানে বিজেপি-র কৃষক সুরক্ষা সমাবেশে দিলীপের সঙ্গে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারীও। সেই সভায় দিলীপ বলেন, ‘‘আমরা চাষাবাড়ির ছেলে, বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এই ছেলেদের উপরে বাংলায় পরিবর্তন আনার দায়িত্ব দিয়েছেন।’’ এর পরেই তিনি চ্যালেঞ্জ ছোড়েন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে। দাবি করেন, তৃণমূল যদি কলকাতায় ১০ হাজার কৃষকের জমায়েত করতে পারে, তবে বিজেপি ৫০ হাজার কৃষক নিয়ে আসবে।
মঙ্গলবার সাধারণতন্ত্র দিবসে কৃষকদের ট্র্যাক্টর প্যারেড নিয়ে তুলকালাম বাধে দিল্লিতে। কৃষক-পুলিশ সংঘর্ষে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয় আইটিও চত্বর, নাংলোই-এর মতো এলাকা। তার চেয়েও বড় বিতর্ক তৈরি হয় পুলিশের নজর এড়িয়ে লালকেল্লায় ঢুকে গম্বুজের মাথায় কৃষক আন্দোলনের পতাকা টাঙিয়ে দেওয়ায়। এর পরে ঘটনার নিন্দা করলেও তার দায় কেন্দ্রের উপরে চাপিয়ে মমতা টুইটে লেখেন, ‘দিল্লির রাজপথে যা হয়েছে, সেটা ভয়ঙ্কর ও বেদনাদায়ক। এর জন্য দায়ী কৃষক ভাই-বোনেদের প্রতি কেন্দ্রের অসংবেদনশীল মনোভাব ও উদাসীনতা’।
তারই জবাব দিতে গিয়ে বুধবার ঝাড়গ্রামের মঞ্চ থেকে দিলীপ বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কৃষি আইনের বিরোধিতা করে কৃষকদের বিভিন্ন সুযোগসুবিধা থেকে বঞ্চিত করছেন।’’ একই সঙ্গে তিনি চ্যালেঞ্জের সুরে বলেন, ‘‘সাহস থাকলে কলকাতায় কৃষকদের নিয়ে একটা মিছিল করে দেখান। ১০ হাজার কৃষকের জমায়েত করে মিছিল করলে পাল্টা কৃষকদের নিয়ে মিছিল করবে বিজেপি। সেখানে ৫০ হাজার কৃষক থাকবে।’’
শুভেন্দুর বক্তব্যে অবশ্য নতুন কিছু ছিল না। সম্প্রতি বিভিন্ন সমাবেশে তিনি যে ভাবে তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করে চলেছেন তারই পুনরাবৃত্তি ছিল ঝাড়গ্রামে। দিলীপ ও শুভেন্দু দু’জনেই বুধবার এই জেলার ৪টি বিধানসভা আসনেই বিজেপি-কে ৫০ হাজারের বেশি ব্যবধানে জেতানোর আহ্বান জানান কর্মী-সমর্থকদের কাছে।