digha

Cyclone Yaas: ইয়াস হানায় ফুঁসছে সমুদ্র, প্রবল জলোচ্ছ্বাসে ভাসছে দিঘা, মন্দারমণি, শঙ্করপুর, তাজপুর

মঙ্গলবার রাত থেকেই দিঘায় শুরু হয়েছিল বৃষ্টি। সমুদ্রে ঢেউয়ের উচ্চতাও বাড়ছিল। সময় যত এগিয়েছে তত বৃষ্টির তীব্রতা বেড়েছে।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৬ মে ২০২১ ১০:০৯
দিঘা ও নিউ দিঘায় গার্ডরেল ছাপিয়ে জল ঢুকতে শুরু করেছে।

দিঘা ও নিউ দিঘায় গার্ডরেল ছাপিয়ে জল ঢুকতে শুরু করেছে। ছবি সৌজন্যে পিটিআই।

ঘূর্ণিঝড় ইয়াস-এর স্থলভাগে আছড়ে পড়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কিন্তু তার অনেক আগে থেকেই তার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে দিঘায়। বুধবার সকালেই জলমগ্ন দিঘার একাধিক এলাকা। জল ঢুকতে শুরু করেছে মূল রাস্তায়। আতঙ্কে বাড়ি ছাড়ছেন অনেক বাসিন্দা।
মঙ্গলবার রাত থেকেই দিঘায় শুরু হয়েছিল বৃষ্টি। সমুদ্রে ঢেউয়ের উচ্চতাও বাড়ছিল। সময় যত এগিয়েছে তত বৃষ্টির তীব্রতা বেড়েছে। সেই সঙ্গে দিঘা ও নিউ দিঘায় গার্ডরেল ছাপিয়ে জল ঢুকতে শুরু করে। তার ফলে বুধবার সকালেই জলমগ্ন মূল শহর। এমনকি জলমগ্ন দিঘা থানাও। দিঘার বাজার এলাকা ৫ থেকে ৬ ফুট জলের তলায় চলে গিয়েছে।

Advertisement

পরিস্থিতি বেগতিক দেখে দিঘার ব্যবসায়ী ও স্থানীয় বাসিন্দারা দ্রুত এলাকা ছেড়ে অপেক্ষাকৃত উঁচু এলাকায় চলে গিয়েছেন। একই পরিস্থিতি ধরা পড়েছে শঙ্করপুর, তাজপুর, মন্দারমণি, জুনপুট সব জায়গায়। অধিকাংশ এলাকায় জল বাঁধ টপকে গ্রামে ঢুকে পড়ছে। এর জেরে বহু এলাকায় আবার ফ্লাড সেন্টারগুলির একতলা জলের নীচে চলে গিয়েছে।

অনেক আগে থেকেই দিঘায় উপকূলবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে প্রশাসন। কিন্তু শহরের বাসিন্দারা বাড়িতেই ছিলেন। যদিও দিঘায় ভিতরে জল ঢুকতে শুরু করায় অনেকেই আতঙ্কে বাড়ি ছেড়ে একটি শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। জল ঢুকেছে সৈকত শহরের অনেক হোটেলেও। পরিস্থিতি মোকাবিলায় নামানো হয়েছে সেনা। জল ঢুকেছে মন্দারমণি, শঙ্করপুর, তাজপুর এলাকায়। প্রচুর গ্রাম জলের তলায়। বেশিরভাগ বাসিন্দারাই গ্রাম ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছেন ত্রাণ শিবিরে।

দিঘায় প্রবল জলোচ্ছ্বাস।

দিঘায় প্রবল জলোচ্ছ্বাস। ছবি সৌজন্যে পিটিআই।

পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে, সমূদ্র তীরবর্তী এলাকায় ব্যাপক ঝড় হলেও এখনও পর্যন্ত ঝড়ের দাপটে বড় ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর নেই। সেই সঙ্গে সমূদ্র তীরবর্তী এলাকা আগে থেকেই খালি করে দেওয়ায় প্রাণহানির কোনও খবরও নেই। ইতিমধ্যে সমস্ত করোনা চিকিৎসা কেন্দ্র-সহ হাসপাতালগুলিতে অতিরিক্ত অক্সিজেন সিলিন্ডার মজুত রাখা হয়েছে। সেই সঙ্গে ২৪ ঘন্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু রাখতে হাসপাতালগুলিতে জেনারেটরের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।

Advertisement
আরও পড়ুন