MLA Oath Ceremony

রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতে নয়া মাত্রা, বোসের ডাকে সায়ন্তিকা রাজভবনে যাবেন না, ডাক পেলেন না রেয়াত

লোকসভা ভোটের সঙ্গেই বরাহনগর ও ভগবানগোলা বিধানসভার উপনির্বাচনের ফল ঘোষণা হয়েছিল। কিন্তু রাজভবন থেকে সবুজ সংকেত না পাওয়ায় দুই বিধায়কের শপথ আটকে রয়েছে বলে তৃণমূলের অভিযোগ।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৪ জুন ২০২৪ ০৮:০২
রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস এবং সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়।

রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস এবং সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল ছবি।

নবনির্বাচিত দুই বিধায়কের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান ঘিরে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত চলছিলই। এ বার সেই সংঘাতে নতুন মাত্রা যোগ হল। বরানগরের নতুন নির্বাচিত তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আগামী ২৬ জুন রাজভবনে ডেকেছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। আর এক নতুন বিধায়ক, ভগবানগোলার রেয়াত হোসেন সরকার অবশ্য এখনও এমন আমন্ত্রণ পাননি বলে জানিয়েছেন। তবে আমন্ত্রণ পেলেও সরাসরি বিধায়কদের রাজভবনে না যেতে বলারই অবস্থান নিচ্ছে তৃণমূল।

Advertisement

লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গেই ভগবানগোলা ও বরানগর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ফল ঘোষণা হয়েছিল। কিন্তু রাজভবন থেকে সবুজ সংকেত না পাওয়ায় দুই বিধায়কের শপথ গ্রহণ আটকে রয়েছে বলে তৃণমূলের তরফে অভিযোগ। এর মধ্যে প্রবীণতম মহিলা বিধায়ক-সহ আরও কিছু তথ্য চেয়ে রাজ্যপাল বোস চিঠি পাঠিয়েছেন। ক্ষুব্ধ বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ও পাল্টা চিঠি দিয়ে রাজ্যপালকে ‘সাংবিধানিক নিয়ম’ স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। এই টানাটানির মধ্যেই আগামী ২৬ তারিখ রাজভবনে সায়ন্তিকাকে ডেকে পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল। সায়ন্তিকা রবিবার বলেছেন, “উপনির্বাচনের ক্ষেত্রে সাধারণত স্পিকার বা ডেপুটি স্পিকারকে শপথ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার দায়িত্ব দেন রাজ্যপাল। কিন্তু তা না করে, বিধানসভাকে কিছু না জানিয়ে সরাসরি আমাকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। তবে ভগবানগোলার বিধায়ককে কোনও চিঠি পাঠানো হয়নি বলেই শুনেছি। সেখানে আমি একা কেন যাব? আমি যাব না।” আর রেয়াতের বক্তব্য, “শপথ গ্রহণের জন্য এখনও আমি কোনও ডাক পাইনি। তিন সপ্তাহ পরেও শপথ না নিতে পারা গণতন্ত্রের পক্ষে শুভ নয়।বিধানসভার বিষয়ে স্পিকার যা বলবেন, তা-ই করব।”

Advertisement
আরও পড়ুন