Left Brigade Rally

বৈশাখের গরমে ব্রিগেডে সমাবেশ ডাকল সিপিএম, তবে দলের নামে নয়, কেন এই কৌশল আলিমুদ্দিনের

গত ৩০ এবং ৩১ ডিসেম্বর সিপিএমের রাজ্য কমিটির বৈঠকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, যাতে দলের শ্রমিক, কৃষক এবং ক্ষেতমজুর সংগঠন বড় কোনও কর্মসূচি করে। সেই মতোই ব্রিগেডে সমাবেশ করার কথা ঘোষণা করল তারা।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫ ১৬:৩৯
CPM’s farmers and Trade Union organizations calls Brigade Rally on April 20

আগামী ২০ এপ্রিল ব্রিগেডের ঘোষণা করল বামেরা। —ফাইল ছবি।

বৈশাখ মাসের প্রবল গরমে ব্রিগেডে সমাবেশ ডাকল সিপিএম। তবে দলের নামে নয়। খাতায়কলমে দলের শ্রমিক, কৃষক, ক্ষেতমজুর এবং বস্তি সংগঠন এই সমাবেশের ‘আনুষ্ঠানিক আয়োজক’। আগামী ২০ এপ্রিল ব্রিগেডে সমাবেশ ডেকেছে তারা। শনিবার ব্রিগেড কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেছেন সিটু, কৃষকসভা, ক্ষেতমজুর সমিতি এবং বস্তি ফেডারেশনের নেতৃত্ব।

Advertisement

গত ৩০ এবং ৩১ ডিসেম্বর সিপিএমের রাজ্য কমিটির বৈঠকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, যাতে দলের শ্রমিক, কৃষক এবং ক্ষেতমজুর সংগঠন বড় কোনও কর্মসূচি করে। সেই মতোই ব্রিগেডে সমাবেশ করার কথা ঘোষণা করল তারা। গত জানুয়ারিতে দলের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআইয়ের ডাকে ব্রিগেড হয়েছিল। সেই সমাবেশে চোখে পড়ার মতো ভিড় হলেও ভোটের বাক্সে তার কোনও প্রতিফলন ঘটেনি। এ বছর সিটু, কৃষকসভাকে ময়দানে নামাল আলিমুদ্দিন স্ট্রিট।

তিন সংগঠনের তরফে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন নীতি এবং রাজ্যে তৃণমূলের শাসনের ‘প্রতিবাদ’ হিসাবে সমাবেশকে আনুষ্ঠানিক ভাবে ব্যাখ্যা করা হলেও সিপিএমের প্রথম সারির নেতারা অন্য দু’টি কারণের কথা বলছেন। এক, ২০২৫ সালে রাজ্যে কোনও বড় ভোট নেই। কিন্তু বছর ঘুরলেই বিধানসভা ভোট। তার আগে সংগঠনে যাতে নড়াচড়া থাকে, সে কারণেই ব্রিগেডের আয়োজন। সিপিএমের এক প্রথম সারির নেতার কথায়, ‘‘গণসংগঠনের নামে হলেও আসলে জমায়েতের জন্য দলীয় সংগঠনকেই কাজ করতে হবে। ভোটহীন বছরে ব্রিগেড তাই ২০২৬-এর নির্বাচনের আগে গা ঘামানো।’’

দ্বিতীয় কারণ হিসাবে পৃথক একটি ব্যাখ্যা দিচ্ছেন সিপিএম নেতৃত্বের অনেকে। তাঁদের বক্তব্য, সিপিএমের জমায়েতে এখন গরিব মানুষের থেকে ‘চকচকে’ মধ্যবিত্তদের ভিড় বেশি। দলের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্যের কথায়, ‘‘আমরা যতটা না জনবিচ্ছিন্ন হয়েছি, তার থেকেও বেশি শ্রেণিবিচ্ছিন্ন হয়েছি। প্রান্তিক অংশের যে মানুষ দীর্ঘ সময় ধরে আমাদের সঙ্গে ছিলেন, তাঁরা এখন হয় তৃণমূল, না হয় বিজেপির সঙ্গে। শ্রমিক, কৃষক, ক্ষেতমজুর সংগঠন যদি সেই কাজ না করে, তা হলে কে করবে!’’

উল্লেখ্য, সিপিএমের বর্তমান নেতৃত্বের মধ্যে যে শ্রমিক এবং কৃষক আন্দোলনের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন লোকজন কম, তা একান্ত আলোচনায় মানেন অনেকেই। একটা সময়ে চিত্তব্রত মজুমদার, বিনয় কোঙারদের মতো নেতারা যে ভাবে শ্রমিক এবং কৃষক আন্দোলনের সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে যুক্ত ছিলেন, এখন অনেকের ক্ষেত্রেই তা অমিল। কিন্তু সেই ‘বিসমিল্লার গলদ’ কি ব্রিগেড ভরলেও কাটবে, সে প্রশ্নও দলের অন্দরে উঠছে।

Advertisement
আরও পড়ুন