Md Salim Nawsad Siddique

নওশাদের সঙ্গে সহমত নন সেলিম, অভিষেক প্রসঙ্গে সিদ্দিকির বক্তব্য নিয়ে অন্য পরামর্শ সিপিএম নেতার

২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের সময় নওশাদদের সদ্য তৈরি হওয়া দল আইএসএফকে সংযুক্ত মোর্চায় শামিল করার নেপথ্যে সেলিমের বড় ভূমিকা ছিল বলে অনেকে বলেন।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০২৪ ২২:০৩
Md Salim Nawsad Siddique

(বাঁ দিকে) নওশাদ সিদ্দিকি। মহম্মদ সেলিম (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

সম্ভবত এই প্রথম! আইএসএফ নেতা তথা ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির মন্তব্যের প্রেক্ষিতে প্রকাশ্যে দ্বিমত পোষণ করলেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। সেই সঙ্গে নওশাদকে পরামর্শও দিয়েছেন তিনি।

Advertisement

প্রসঙ্গ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কয়েক মাস ধরেই নওশাদ ধারাবাহিক ভাবে বলে চলেছেন, তাঁর দল যদি চায়, তা হলে তিনি লোকসভা ভোটে ডায়মন্ড হারবারে প্রার্থী হবেন। মঙ্গলবার আবার নওশাদ বলেছেন, ‘‘আমি ভোটে দাঁড়ানোর কথা বলেছি, তাতেই অভিষেক ভয় পেয়ে রাজ্য ছেড়ে ডায়মন্ড হারবারে ঢুকে পড়েছেন। মনোনয়ন জমা দিলে তো বাড়ি ভাড়া করে থাকতে হবে।’’

ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়কের এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় সেলিম বলেন, ‘‘আমি এই নওশাদের সঙ্গে সহমত নই। তৃণমূল রাজ্যে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করেছে। আমরা চাই বাংলা ভয়মুক্ত হোক।’’ তবে এর পরেই নওশাদকে পরামর্শ দিতে গিয়ে নাম না করে অভিষেককে কটাক্ষ করেছেন সেলিম। তিনি বলেন, ‘‘আমি নওশাদকে বলব, ওই ডেঁপোটাকে ভয় না দেখাতে।’’

২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের সময় নওশাদদের সদ্য তৈরি হওয়া দল আইএসএফকে সংযুক্ত মোর্চায় শামিল করার নেপথ্যে সেলিমের বড় ভূমিকা ছিল বলে অনেকে বলেন। ফুরফুরা শরিফের সঙ্গে আলিমুদ্দিনের সেতুবন্ধনের ক্ষেত্রে তিনিই মুখ্য ভূমিকা নিয়েছিলেন বলে শোনা যায়। বস্তুত, সেলিম তখনও রাজ্য সম্পাদক হননি। আইএসএফের মুখ তখন নওশাদ ছিলেন না। ছিলেন তাঁর দাদা তথা পিরজাদা আব্বাস সিদ্দিকি। ধর্মগুরুদের সঙ্গে সিপিএমের নৈকট্য নিয়ে সেই সময়ে দলের অনেকেই সেলিমের সমালোচনা করতেন। যদিও পরে আব্বাসের বদলে নওশাদ হয়ে ওঠেন রাজনৈতিক ‘মুখ’। সেলিমও প্রকাশ্যেই স্বীকার করেছিলেন, আব্বাস ধর্মগুরু আর নওশাদ রাজনীতিক। যদিও বেশ কয়েক মাস হল আইএসএফের সঙ্গে সেই সখ্য সিপিএম তথা সেলিমের নেই। অন্তত প্রকাশ্যে তা দেখা যায় না।

Advertisement
আরও পড়ুন