Partha Chatterjee

জেলে পার্থের চিকিৎসা নিয়ে রিপোর্ট চায় কোর্ট

ধৃতদের তরফে এ দিন জামিনের কোনও আবেদন জানানো হয়নি। আইনজীবীদের একাংশের বক্তব্য, নির্ধারিত কোর্টে শুনানি না-হওয়ায় ধৃতদের আইনজীবীরা জামিনের আর্জি জানানো থেকে বিরত থেকেছেন।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০২২ ০৭:৫৪
প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।

রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ সংক্রান্ত মামলায় গ্রেফতারের সময় থেকেই প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের চিকিৎসা নিয়ে চাপান-উতোর চলছিল। বুধবার আলিপুর কোর্টের মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের (সিজেএম) আদালতে আবার সেই বিষয়ে অভিযোগ ওঠায় পার্থের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জেল-কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট তলব করেছেন‌ বিচারক। প্রাক্তন মন্ত্রীর আইনজীবী অভিযোগ করেন, ‘‘আমার মক্কেল অসুস্থ। জেল হাসপাতালে তাঁর যথাযথ চিকিৎসা হচ্ছে না। তিনি রোজ ২১টি ওষুধ খান। তাঁর চিকিৎসার বিষয়ে নজরদারির প্রয়োজন আছে।’’ তার পরেই বিচারক এই বিষয়ে রিপোর্ট চান। পার্থ-সহ পাঁচ অভিযুক্তকে ফের ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

জেলে পার্থের চিকিৎসা নিয়ে অভিযোগের পাশাপাশি এ দিন একই মামলায় ধৃত, এসএসসি বা স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিংহকে জেলে ঠিকঠাক খাবারদাবার দেওয়া হচ্ছে না বলে আদালতে নালিশ করা হয়। শান্তিপ্রসাদের আইনজীবী অভিযোগ করেন, ‘‘আমার মক্কেলকে সকালে দু’টি রুটি এবং তরকারি দেওয়া হচ্ছে। রাতে দেওয়া হচ্ছে মাত্র দু’টি রুটি। জেল-কর্তৃপক্ষ তাঁর সঙ্গে অমানবিক আচরণ করছেন।’’ এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে শান্তিপ্রসাদের খাবারের ব্যাপারেও জেল-কর্তৃপক্ষের রিপোর্ট তলব করেছেন বিচারক।

Advertisement

পুজোয় ছুটি থাকায় ওই মামলার অভিযুক্তদের এ দিন বিশেষ সিবিআই আদালতের বদলে ভার্চুয়াল মাধ্যমে সিজেএম কোর্টে হাজির করানো হয়েছিল। স্কুল নিয়োগ দুর্নীতিতে পার্থ ছাড়াও মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, এসএসসি-র প্রাক্তন সহ-সচিব অশোক সাহা এবং উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। তাঁরা আপাতত জেলবন্দি রয়েছেন। এ দিন শুনানির শুরুতেই বিচারক তাঁর মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রেসিডেন্সি জেলের হেফাজতে থাকা ধৃতদের উপস্থিতির উপরে নজরদারি করেন। তার পরে মামলার শুনানি শুরু হয়।

ধৃতদের তরফে এ দিন জামিনের কোনও আবেদন জানানো হয়নি। আইনজীবীদের একাংশের বক্তব্য, নির্ধারিত কোর্টে শুনানি না-হওয়ায় ধৃতদের আইনজীবীরা জামিনের আর্জি জানানো থেকে বিরত থেকেছেন। সিবিআইয়ের আইনজীবী এ দিন কোর্টে বলেন, এই ঘটনায় বৃহত্তর ষড়যন্ত্র আছে। ধৃতেরা সেই ষড়যন্ত্রে জড়িত। এই মামলায় চার্জশিট পেশ করা হয়েছে। কিন্তু তদন্ত শেষ হয়নি। সাক্ষ্য গ্রহণ এবং সংগ্রহের কাজ চলছে। ধৃতেরা অত্যন্ত প্রভাবশালী।‌ জামিনে ছাড়া পেলে তাঁরা তদন্তকে প্রভাবিত করতে পারেন। সুবীরেশকে প্রথম শ্রেণির বন্দির মর্যাদা দেওয়ার নির্দেশ চেয়ে এ দিন আদালতে আবেদন করেন তাঁর আইনজীবী। কিন্তু বিচারক তা খারিজ করে দিয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement