গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে টিকাকরণ শুরু হওয়ার পর এই প্রথম রাজ্যে ১ দিনে ৪ লক্ষাধিক টিকা দেওয়া হল। সেই সঙ্গে করোনায় নতুন সংক্রমণের সংখ্যা আরও কিছুটা কমল। গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিডে আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যুর সংখ্যাও আগের দিনের থেকে কম হয়েছে। যদিও কলকাতায় সংক্রমিতদের মধ্যে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে।
রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত শনিবারের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৮৯৪ জন। তার মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা ২২৯ জন। কলকাতায় ১৭৬ জনের দেহে সংক্রমণ ছড়িয়েছে। এ ছাড়া পশ্চিম মেদিনীপুর (১৭৫), দার্জিলিং (১৭২), জলপাইগুড়ি (১১৯), দক্ষিণ ২৪ পরগনা (১১৮), হাওড়া (১১০), হুগলি (১০৯) এবং পূর্ব মেদিনীপুর (১০৮) জেলায় দৈনিক আক্রান্ত ১০০ বা তার বেশি হয়েছে। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট ১৪ লক্ষ ৯৩ হাজার ১১৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।
করোনার সংক্রমণ রুখতে বিধিনিষেধ চালু করার পাশাপাশি টিকাকরণেও সমান গুরুত্ব দিয়েছে রাজ্য সরকার। শনিবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে মোট ৪ লক্ষ ১৭ হাজার ৬১১ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি দেশ জুড়ে টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু হয়েছিল। ওই দিন থেকে অন্যান্য রাজ্যের মতো পশ্চিমবঙ্গেও তা চালু হয়। এখনও পর্যন্ত এটিই সর্বোচ্চ টিকাকরণ বলে স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে।
টিকাকরণ ছাড়াও কোভিড পরীক্ষার মাধ্যমেও সংক্রমিতদের চিহ্নিত করা জরুরি বলে মনে করেন চিকিৎসকেরা। সেই পরামর্শ মেনেই গত কয়েক দিন ৫০ হাজারের বেশি করে পরীক্ষা হচ্ছে। স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৫ হাজার ৩৪৮টি কোভিড টেস্ট হয়েছে। তবে নতুন সংক্রমণ কিছুটা নিম্নমুখী হলেও এর দৈনিক হার সামান্য বেড়ে হয়েছে ৩.৪৯ শতাংশ। যদিও সংক্রমণের মোট হার কমে দাঁড়িয়েছে ১০.৬৬ শতাংশে।
কোভিডের কারণে গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। তার মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনায় ৯, কলকাতায় ৮, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৬, নদিয়ায় ৩ জন মারা গিয়েছেন। এ ছাড়া, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, উত্তর দিনাজপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, পশ্চিম বর্ধমান এবং হাওড়ায় ১ জন করে আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। সব মিলিয়ে রাজ্যে মোট ১৭ হাজার ৫৮৩ জন কোভিডের বলি হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।