Hawker Eviction

হকার পুনর্বাসনের দাবি নাগরিক সভায়

সরকারি জমি ও রাস্তা ‘জবরদখল’ থেকে মুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তার পরেই কলকাতা-সহ রাজ্যের নানা প্রান্তে হকার ‘উচ্ছেদ’ শুরু হয়েছিল।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ জুলাই ২০২৪ ০৮:৫৯
Representative Image

—প্রতীকী ছবি।

হকার ‘উচ্ছেদের’ প্রতিবাদ ও পুনর্বাসনের দাবি তোলা হল নাগরিক কনভেনশন থেকে। চার দফা দাবিকে সামনে রেখে ৮টি কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠন এবং ১২ জুলাই কমিটির ডাকে সোমবার নাগরিক সম্মেলন ছিল কলকাতার ভারত সভা হলে। যোগ দিয়েছিলেন বিশিষ্ট নাগরিকদের একাংশ। তাঁরা খোলা চিঠিতে সই করে হকারদের জীবন-জীবিকা রক্ষার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আর্জিও জানিয়েছেন।

Advertisement

সরকারি জমি ও রাস্তা ‘জবরদখল’ থেকে মুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তার পরেই কলকাতা-সহ রাজ্যের নানা প্রান্তে হকার ‘উচ্ছেদ’ শুরু হয়েছিল। এরই প্রতিবাদে শ্রমিক সংগঠন সিটু, আইএনটিইউসি, এআইটিইউসি, এআইসিসিটিইউ, এআইইউটিইউসি, টিইউসিসি, ইউটিইউসি, এইচএমএস-এর ডাকে সম্মেলন থেকে ফের ২০১৪-র কেন্দ্রীয় হকার আইন কার্যকর করা, যথাযথ পুনর্বাসনের দাবি জানানো হয়েছে। সিটুর রাজ্য সম্পাদক অনাদি সাহুর তোপ, “হকার উচ্ছেদে সরকারের স্বেচ্ছাচারী মানসিকতার প্রকাশ দেখা যাচ্ছে।” হকার যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক অসিতাঙ্গ গঙ্গোপাধ্যায়ের অভিযোগ, “রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ও বৃহৎ পুঁজির সুবিধা করে দিতেই রাজ্য সরকার হকার উচ্ছেদ করছে।” হকার উচ্ছেদের বিরোধিতা করেছেন চিকিৎসক তথা সিপিএম নেতা ফুয়াদ হালিম, অধ্যাপক মহালয়া চট্টোপাধ্যায়, অভিনেতা বিমল চক্রবর্তী, চন্দন সেন প্রমুখ। ফুয়াদ দাবি করেছেন, সরকার যে সামাজিক চাহিদা পূরণ করতে পারে না, হকারেরা অনেক ক্ষেত্রেই সেটাই পূরণ করেন। যদিও কলকাতা পুরসভা ইতিমধ্যেই দাবি করেছে, হকার উচ্ছেদ হয়নি। হকারদের ‘নিয়মানুবর্তী’ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন
Advertisement