Mamata Banerjee

সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করুন! জীবনদায়ী ওষুধের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী

চিঠিতে মমতা জানিয়েছেন, হঠাৎ ওষুধের দাম বৃদ্ধি পেলে রোগীর পরিজনেরা অসুবিধার মুখে পড়বেন। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধি সাধারণ মানুষের কাছেও ধাক্কা বলে উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ অক্টোবর ২০২৪ ১৬:৪৬
(বাঁ দিকে) নরেন্দ্র মোদী এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (ডান দিকে)।

(বাঁ দিকে) নরেন্দ্র মোদী এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (ডান দিকে)। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।

কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় অ্যাজ়মা, গ্লকোমা, থ্যালাসেমিয়া, যক্ষ্মা ও মানসিক অসুস্থতার ওষুধ-সহ আটটি অবশ্য প্রয়োজনীয় ওষুধের দাম অন্তত ৫০ শতাংশ বা তারও বেশি বৃদ্ধিতে অনুমোদন দিল কেন্দ্র। এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার আর্জি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, হঠাৎ ওষুধের দাম এত বৃদ্ধি পেলে দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত রোগীদের পরিজনেরা অসুবিধার মুখে পড়বেন। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে জীবনদায়ী ওষুধের দামবৃদ্ধি সাধারণ মানুষের কাছেও বড় ধাক্কা বলে চিঠিতে উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠিতে পশ্চিমবঙ্গের প্রসঙ্গও উল্লেখ করেছেন মমতা। তিনি লেখেন, “পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্য, যারা রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা দিয়ে থাকে, ওষুধের দামবৃদ্ধির ফলে তাদের উপরেও সার্বিক ভাবে আর্থিক বোঝা বাড়বে।” একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রীর সংযোজন, “আমি আশাবাদী, আপনি একমত হবেন যে, এর ফলে রাজ্যগুলিতে তো বটেই, গোটা দেশে সুলভে স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হবে।”

চিঠির শেষে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, “আমার আর্জি আপনার দফতর জনস্বার্থে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রককে এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার নির্দেশ দিক। প্রসঙ্গত, ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটি বা এনপিপিএ ওই ওষুধগুলির দামবৃদ্ধিতে সবুজ সঙ্কেত দিয়ে জানায়, খরচ মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ায় ওষুধগুলি তৈরিতে সমস্যা হচ্ছিল। ওই আটটি ওষুধ যাতে বাজারে সব সময় পাওয়া যায়, সেই বৃহত্তর স্বার্থের কথা মাথায় রেখেই দাম বাড়ানো হয়েছে। যদিও বিশেষজ্ঞদের একাংশ তখন দাবি করেছিলেন, এ ভাবে এক ধাক্কায় ৫০ শতাংশ দাম বাড়িয়ে দেওয়ায় মানুষের অসুবিধাই হবে।

উল্লেখ্য, লোকসভা ভোটের পর মুখ্যমন্ত্রী বিমায় জিএসটি প্রত্যাহারের দাবিতে চিঠি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীকে। সেই চিঠি দেওয়ার কয়েক মাসের মধ্যেই তা কার্যকর করার ইঙ্গিত দিয়েছে কেন্দ্র। এ বার ওষুধের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে মোদীকে চিঠি দিলেন মমতা।

আরও পড়ুন
Advertisement