How To Avoid Toxic Conversation

কথোপকথন বাদানুবাদের দিকে এগোলে শান্ত ভাবে তাতে ইতি টানবেন কী করে?

সামান্য কথাবার্তাই অনেক সময় এমন বাদানুবাদের চেহারা নেয়, যার জের এসে পড়ে ব্যক্তিগত জীবনেও। এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হলে কী কী করতে পারেন?

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ অক্টোবর ২০২৪ ১৪:৫৭
বাদানুবাদে  পৌঁছচ্ছে কথোপকথন? কী ভাবে পরিস্থিতি সামলাবেন?

বাদানুবাদে পৌঁছচ্ছে কথোপকথন? কী ভাবে পরিস্থিতি সামলাবেন? ছবি: ফ্রিপিক।

কথা শুরু হল শান্ত-সুন্দর ভাবে। অথচ কিছু ক্ষণ পরে দেখা গেল সামান্য কথা থেকেই বেধে গেল অশান্তি। রাগের মাথায় এক জন অন্য জনকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করে দু’কথা শুনিয়ে দিলেন। ঝামেলা থেমেও গেলেও, অনেক সময়েই রাগের মাথায় বলা ফেলা কথার জেরে সম্পর্ক তিক্ত হয়ে ওঠে।

Advertisement

বন্ধু হোন বা কর্মক্ষেত্রে কোন সহকর্মী অথবা অন্য কোনও পরিচিত, অনেক সময় অন্যের কথা পছন্দ না হলেও শুনতে হয়। কখনও সেই কথার পাল্টা যুক্তি দেখাতে গেলে শুরু হয় অশান্তি। সামান্য কথা থেকে বাদানুবাদের জায়গাও তৈরি হয়। রাগের মাথায় সেই পরিস্থিতির পরিণতি সম্পর্কে ধারণা করা যায় না ঠিকই, তবে পরবর্তী কালে এর প্রভাব পড়তে পারে ব্যক্তিগত বা কর্মজীবনে।

কথা শুরু করার পর যদি দেখেন, তা বাদানুবাদের দিকে মোড় নিতে চলেছে, তখন কী করবেন? নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করবেন, না কি অন্যকে? মনো-সমাজকর্মী মোহিত রণদীপের কথায়, পরিস্থিতি হাতের বাইরে যাওয়ার আগে সেটি থামানো দরকার। কিছুটা আত্মনিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে, কিছুটা সেই পরিবেশ থেকে বেরিয়ে এসে।

কী সেই উপায়?

১. সহকর্মীর সঙ্গে কোনও আলোচনা হয়তো এমন দিকে মোড় নিল, যেখান থেকে উত্তেজনা তৈরি হতে পারে। মনো-সমাজকর্মীর পরামর্শ, তখন কিন্তু নিজেরই ভাবা দরকার, এর পরিণতি কী? আদৌ কি অন্য মানুষটি আপনার কথা বুঝবেন? যদি না বোঝেন, কথা বাড়িয়ে কী লাভ? সেখানেই থেমে যেতে পারেন।

২. যদি মনে হয়, কথোককথন থেকে বচসার সূত্রপাত হতে পারে, তখনই তাতে ইতি টানতে পারেন। এই বিষয়টি নিয়ে এখন আলোচনা করে লাভ হবে না বা আপনি আর কথা বাড়াতে চান না, সেটি অন্য পক্ষকে শান্ত অথচ দৃঢ় ভাবে জানানো যেতে পারে।

৩. পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাওয়ার উপক্রম হলে, পরে কথা বলবেন জানিয়ে নিজেই সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন। এই সময় মুখে-চোখে একটু জল দিলে বা কোথাও শান্ত হয়ে বসলে, নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।

৪. অন্য পক্ষকে শান্ত করতে সেই মুহূর্তে কথা থামিয়ে বলতে পারেন, "এখন একটু চা খেয়ে আসা যাক, পরে এ নিয়ে আলোচনা হবে"। সাময়িক বিরতি কিন্তু উত্তপ্ত কথোপকথন এড়াতে কাজে আসতে পারে।

মোহিতের কথায়, যে কোনও কথোপকথন এগোনোর আগে কার সঙ্গে, কোন বিষয় নিয়ে কতটা আলোচনা করা যেতে পারে, ভেবে রাখা ভাল। যাঁর সঙ্গে পেশাগত সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে, তাঁর সঙ্গে বিষয়টি যাতে তপ্ত বাক্য বিনিময়ে না পৌঁছয়, সে বিষয়ে আগাম সতর্ক হওয়া যেতে পারে। মতের অমিল হলে, ধীরে বোঝানোর চেষ্টা করা যেতে পারে। কিন্তু তাতে লাভ না হলে, বিষয়টিতে সেই মুহূর্তে ইতি টানাই ভাল।

আরও পড়ুন
Advertisement