সোমবার রাজ্য সঙ্গীত গাইছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ অন্যান্যরা। —সংগৃহীত।
জাতীয় সঙ্গীতের মতো রাজ্য সঙ্গীত গাওয়ার সময়ে উঠে দাঁড়ানোর পরামর্শ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠিত হয় আলিপুরের উত্তীর্ণ প্রেক্ষাগৃহে। ভবানীপুর মুখ্যমন্ত্রীর নিজের বিধানসভা কেন্দ্র। সেই অনুষ্ঠানের শেষেই মুখ্যমন্ত্রী রাজ্য সঙ্গীত গাওয়ার কথা বলেন। তখনই তিনি বলেন, ‘‘সবাইকে কিন্তু উঠে দাঁড়াতে হবে। জাতীয় সঙ্গীতের সময় আমরা যেমন উঠে দাঁড়াই, তেমন রাজ্য সঙ্গীতের সময়েও করতে হবে।’’
উত্তীর্ণে সোমবারের অনুষ্ঠানের শেষে গান করেন মন্ত্রী তথা ইন্দ্রনীল সেন, রূপঙ্কর বাগচী, শ্রীরাধা বন্দ্যোপাধ্যায়, মনোময় ভট্টাচার্যেরা। ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’ নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক তৈরি হওয়ার পর রাজ্য সরকার বিশিষ্টজন থেকে শুরু করে রাজনৈতিক দল-সহ সমাজের বিভিন্ন অংশের মানুষের মতামত নেয়। সেখানে রাজ্য সঙ্গীত নিয়েও নানা মত উঠে আসে। তার পর গত ৭ সেপ্টেম্বর বিধানসভায় প্রস্তাব পাশ হয়, ১ বৈশাখকে ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’ হিসাবে পালন করা হবে। সেই সঙ্গে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘বাংলার মাটি, বাংলার জল’ গানটিকে মর্যাদা দেওয়া হবে রাজ্য সঙ্গীত হিসাবে। সোমবার রাজ্য সঙ্গীতের পাশাপাশি জাতীয় সঙ্গীতও গাওয়া হয়।
এর আগে স্পেন সফরে গিয়ে মাদ্রিদের বাঙালিদের মুখ্যমন্ত্রী পরামর্শ দিয়েছিলেন, রাজ্য দিবস ও রাজ্য সঙ্গীতটি স্মরণে রাখতে। বার্সেলোনায় প্রবাসীদের অনুষ্ঠানে রাজ্য সঙ্গীত পরিবেশিতও হয়েছিল।