Needle

Child death by needle case: দিনের পর দিন সুচ বিঁধিয়ে শিশুকন্যাকে খুন, মা আর ‘প্রেমিক’-এর ফাঁসির আদেশ

চার বছর আগে মেয়েকে সুচ বিঁধিয়ে হত্যা করেন মঙ্গলা। তার ‘প্রেমিক’ সনাতনের বিরুদ্ধে শিশুটির শরীরে সুচ বিঁধিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
পুরুলিয়া শেষ আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৪:৪৪
সনাতন গোস্বামী ঠাকুর এবং মঙ্গলা গোস্বামী।

সনাতন গোস্বামী ঠাকুর এবং মঙ্গলা গোস্বামী। নিজস্ব চিত্র।

তাদের ‘প্রেম’-এর সম্পর্কে ‘বাধা’ হয়ে দাঁড়াচ্ছিল সাড়ে তিন বছরের শিশুকন্যাটি। তাই তাকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মা এবং তার ‘প্রেমিক’। চার বছর আগের সেই ঘটনায় নিহত শিশুর মা এবং তার ‘প্রেমিক’কে ফাঁসির সাজা দিল আদালত।

পুরুলিয়ার সুচ-কাণ্ডে নিহত শিশুর মা এবং তার ‘প্রেমিক’ দু’জনকেই মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। ষড়যন্ত্র করে সুচ ফুটিয়ে শিশুকন্যাকে হত্যার মামলায় শনিবারই পুরুলিয়ার একটি দ্রুত নিষ্পত্তি আদালত দু’জনকে দোষী সাব্যস্ত করে। সোমবার সরকারি আইনজীবীর আবেদনের প্রেক্ষিতে মামলাটির রায়দান স্থগিত রাখা হয়েছিল। মঙ্গলবার শিশুটির মা মঙ্গলা গোস্বামী এবং তার ‘প্রেমিক’ সনাতন গোস্বামী ঠাকুরকে আদালত ফাঁসির নির্দেশ দিয়েছে।

২০১৭ সালের ১১ জুলাই জ্বর ও সর্দি-কাশির উপসর্গ নিয়ে সাড়ে তিন বছরের মেয়েকে পুরুলিয়ার সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছিল মঙ্গলা। চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন, সেই সময়েই শিশুটির শরীরে একাধিক ক্ষত এবং আঁচড়ের চিহ্ন ছিল। এমনকি শিশুটির নিম্নাঙ্গে রক্তের দাগও ছিল বলে জানিয়েছিলেন তাঁরা। ক্ষতের কারণ জানতে মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করে এক্সরে করা হলে দেখা যায় তার শরীরের ভিতর বিঁধে রয়েছে সাতটি সূচ। কী ভাবে সুচ বেঁধানো হল, তা জানতে চাওয়া হলেও তার সদুত্তর মেলেনি মঙ্গলার কাছে। পরে দাবি করে, সে প্রাক্তন হোমগার্ড সনাতনের বাড়ির পরিচারিকা। সনাতনই তার মেয়ের উপরে ‘নির্যাতন’ চালিয়েছে।

Advertisement

মঙ্গলবার আদালতে ফাঁসির রায় শুনে আগাগোড়া নীরব ছিল সনাতন। যদিও মঙ্গলা বারবার জানিয়েছে, সে নির্দোষ।

আরও পড়ুন
Advertisement