Fire crackers

পরিবেশবান্ধব আতশবাজির ক্লাস্টার গড়ে তুলতে হবে বাংলায়, নবান্নে মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে বৈঠক

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভার বৈঠকে রাজ্যে আতশবাজির বেআইনি ব্যবসা তুলে দিয়ে, পরিবেশবান্ধব আতশবাজি ক্লাস্টার গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। সঙ্গে মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটিও গঠন করেন তিনি। সেই কমিটির বৈঠক হল।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ জুন ২০২৩ ১৩:৪৭
Image of fire crackers and Nabanna.

আতশবাজি ( বাঁ দিকে )। নবান্ন ( ডান দিকে )। —প্রতীকী ছবি।

পরিবেশবান্ধব আতশবাজির ক্লাস্টার করতে বৈঠকে বসছেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ ত্রিবেদী। সব ঠিকঠাক চললে আগামী মঙ্গলবার নবান্নে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করবেন তিনি। সম্প্রতি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরায় বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ হলে প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। তার পরেই রাজ্যজুড়ে বেআইনি বাজি কারখানাগুলিতে ধরপাকড় শুরু হয়। প্রতিবাদের সরব হন রাজ্যের আতশবাজি ব্যবসায়ীরা। পরে পরিস্থিতি বিবেচনা করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভার বৈঠকে রাজ্যে আতশবাজির বেআইনি ব্যবসা তুলে দিয়ে পরিবেশবান্ধব আতশবাজি ক্লাস্টার গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। সঙ্গে মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটিও গঠন করেন তিনি। সেই কমিটিতে রাখা হয় দমকল, পরিবেশ, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দফতরের সচিবদের। পরে মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে রাজ্যের আতশবাজি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে একটি বৈঠক করে ওই কমিটি। ঠিক হয়, সময় ও সুযোগ বুঝে নবান্নেই ক্লাস্টার গঠন নিয়ে বৈঠক করবেন মুখ্যসচিব। সূত্রের খবর, যাবতীয় প্রশাসনিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়ে যাওয়ার পর আগামী মঙ্গলবার প্রশাসনের শীর্ষকর্তা এবং আতশবাজি ব্যবসায়ীদের নিয়ে বৈঠকে বসছেন মুখ্যসচিব।

Advertisement

ইতিমধ্যে পরিবেশবান্ধব আতশবাজি তৈরি করতে নাগপুর থেকে ন্যাশনাল এনভায়রমেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এনইইআরআই)-এর সঙ্গে যোগাযোগ করে রাজ্যের আতশবাজি তৈরির প্রশিক্ষণ দিতে অনুরোধ করা হয়। সেই মতো ২২ জনের একটি প্রতিনিধি দল জুন মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে বিভিন্ন জেলায় গিয়ে পরিবেশবান্ধব আতশবাজি তৈরির প্রশিক্ষণ দিতে শুরু করেছেন। আগামী দু’মাস পশ্চিমবঙ্গে থেকে তারা এই প্রশিক্ষণ দেবে। প্রশিক্ষণ শেষ হলেই ক্লাস্টার ভিত্তিক ভাবে আতশবাজি তৈরির কাজ শুরু হবে। কিন্তু তার আগে তৈরি করতে হবে ক্লাস্টারের পরিকাঠামো। তাই মনে করা হচ্ছে, রাজ্যের পরিবেশবান্ধব আতশবাজি তৈরি করতে পরিকাঠামো গড়তে মঙ্গলবার মুখ্যসচিব বৈঠকটি করবেন। সম্প্রতি আতশবাজি তৈরির লাইসেন্স দেওয়ার প্রক্রিয়াও সরল করা হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, ক্লাস্টার গঠনের পর আতশবাজি ব্যবসায়ীদের লাইসেন্স পেতে যাতে কোনও রকম অসুবিধা না হয়, সেই কারণেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে।

এগরার পর দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজে একটি আতশবাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছিল। সেই ঘটনার পর পুলিশ প্রশাসন কড়া পদক্ষেপ করায় স্বাভাবিক ভাবে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল, আগামী উৎসবের মরসুমে পর্যাপ্ত আতশবাজি মিলবে কি না। সারা বাংলা আতশবাজি ব্যবসায়ী সমিতির তরফ থেকে আশ্বাস দিয়ে জানানো হয়েছে, প্রশিক্ষণ পর্ব শেষ হলে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই তারা উৎসবের মরসুমের জন্য বাজির তৈরির কাজে হাত দেবে। ফলে অক্টোবর মাস থেকে শুরু হওয়া উৎসবের মরসুমে পরিবেশবান্ধব আতশবাজির কোনও অভাব হবে না।

আরও পড়ুন
Advertisement