রাজ্যগুলিকে নির্দেশ পাঠিয়েছে কেন্দ্র ফাইল চিত্র।
কোভিডের সঙ্গে মিউকরমাইকোসিস হলে কী ওষুধ ব্যবহার করা যাবে, সেই সংক্রান্ত পরামর্শ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রককে জানিয়েছে ‘জয়েন্ট ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্স’। আর সেই পরামর্শ মেনেই এ বার রাজ্যগুলিকে নির্দেশিকা পাঠাল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। রাজ্যগুলিকে এই নির্দেশিকা মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র।
কেন্দ্রের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, নীতি আয়োগের সদস্য ভিকে পল ও ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)-এর ডিরেক্টর জেনারেল বলরাম ভার্গবের পরামর্শ মতো মিউকরমাইকোসিসে আক্রান্ত রোগীদের অ্যাম্ফোটেরিসিন বি ওষুধ দিতে বলা হচ্ছে। এই ওষুধ লাইপোজোমাল অ্যাম্ফোটেরিসিন বি ও অ্যাম্ফোটেরিসিন বি ডিঅক্সিকোলেট রূপে দেওয়া যেতে পারে। ২টি ওষুধই সমান কার্যকরী। কিন্তু যদি অ্যাম্ফোটেরিসিন বি ওষুধ না থাকে কিংবা কোনও রোগীর শরীরে তার বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়, সে ক্ষেত্রে পসাকোনাজল ইঞ্জেকশন ব্যবহার করা যেতে পারে।
কেন্দ্র জানিয়েছে, অ্যাম্ফোটেরিসিন বি ডিঅক্সিকোলেট ওষুধ ব্যবহার করলে কোনও রোগীর কিডনির ক্ষেত্রে বিরূপ প্রতিক্রিয়া ঘটতে পারে। কোনও রোগীর মস্তিষ্কে মিউকরমাইকোসিস হলে সে ক্ষেত্রে লাইপোজোমাল অ্যাম্ফোটেরিসিন দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। মিউকরমাইকোসিসে আক্রান্ত রোগীকে স্যালাইন দেওয়া যেতে পারে। অক্সিজেন দিলে বা মাস্ক পরলে মিউকরমাইকোসিসে আক্রান্ত রোগীদের কোনও সমস্যা হবে না বলেই জানিয়েছে কেন্দ্র।
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, রাজ্যের সব সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে এই নির্দেশ দ্রুত জানাতে হবে। মিউকরমাইকোসিসে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে যাতে অন্য কোনও ওষুধ ব্যবহার না হয়, সেই নির্দেশও দিয়েছে কেন্দ্র।
(‘মিউকরমাইকোসিস’ আদৌ ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’ নয়। বস্তুত, ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’ বলে কোনও রোগ নেই বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।
অথচ ঘটনাচক্রে, রোগটি এই নামেই আমজনতার কাছে অনেক বেশি পরিচিত। সেই কারণেই আনন্দবাজার ডিজিটাল সাধারণ ভাবে ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’ নামটি ‘মিউকরমাইকোসিস’-এর ক্ষেত্রে ব্যবহার করছে। অজ্ঞানতাবশত নয়।)