Hari Krishna Dwivedi

দ্বিবেদীর নামে অভিযোগ দায়ের, দাবি শুভেন্দুর

সিভিসি-র পোর্টালও একই তথ্য জানাচ্ছে। শুভেন্দু ৩১ জানুয়ারি সিভিসি-কে চিঠি লিখেছিলেন। তা খতিয়ে দেখে ২২ ফেব্রুয়ারি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ মার্চ ২০২৩ ০৭:৩৮
picture of Hari Krishna Dwivedi and suvendu adhikari.

রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী এবং রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ফাইল চিত্র।

রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী নালিশ করার পরে রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করল কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশন।

শুভেন্দু রাজ্যের মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধে অনৈতিক ভাবে এইচআরএ বা বাড়িভাড়া ভাতা নেওয়ার অভিযোগ তুলে কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশনের (সিভিসি) কাছে চিঠি পাঠিয়েছিলেন। শুভেন্দু টুইট করে জানিয়েছেন, সেই অভিযোগ গ্রহণ করেছে সিভিসি। সিভিসি-র তরফে তাঁকে পাঠানো ই-মেলও তুলে প্রকাশ্যে এনেছেন শুভেন্দু। তাতে বলা হয়েছে, তাঁর করা অভিযোগ খতিয়ে দেখে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

Advertisement

সিভিসি-র পোর্টালও একই তথ্য জানাচ্ছে। শুভেন্দু ৩১ জানুয়ারি সিভিসি-কে চিঠি লিখেছিলেন। তা খতিয়ে দেখে ২২ ফেব্রুয়ারি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় প্রশাসনিক সূত্রের বক্তব্য, এমন কোনও অভিযোগ গ্রহণ করা হলে, অভিযোগকারীকে সেই বার্তা ই-মেল করে জানানো হয়। শুভেন্দুকেও তেমনই বার্তা দেওয়া হয়েছে। ই-মেল বার্তায় বলা হয়েছে, সিভিসি-র নিয়ম অনুযায়ী শুভেন্দুর অভিযোগপত্র খতিয়ে দেখে নথিবদ্ধ করা হয়েছে। তবে তারা তদন্ত শুরু করবে নাকি রাজ্য সরকারকে তেমন সুপারিশ করবে, তা অবশ্য এখনও স্পষ্ট নয়।

শুভেন্দুর অভিযোগ ছিল, সরকারি বাংলো নেওয়ার পরেও এইচআরএ বা বাড়িভাড়া ভাতা বাবদ মোট ১৬ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা নিয়েছেন দ্বিবেদী। ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর মুখ্যসচিবের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে দ্বিবেদী আলিপুরের আট কামরার সরকারি বাংলোয় থাকেন। অভিযোগ, তার পরেও বেআইনি ভাবে এইচআরএ বাবদ দ্বিবেদী ওই টাকা নিয়েছেন। এর ফলে অল ইন্ডিয়া সার্ভিস (হাউস রেন্ট অ্যালাউন্স) রুল ভেঙেছেন মুখ্যসচিব। যা ক্ষমতার অপব্যবহার বলে শুভেন্দুর দাবি। এ বিষয়ে মুখ্যসচিবের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা হলেও তা করা যায়নি। তবে রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর, দ্বিবেদী এখন আর এইচআরএ নিচ্ছেন না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement