চলতি মাসে রাজ্যের বরাদ্দ থেকে ৭ লক্ষাধিক অতিরিক্ত টিকা পাঠিয়েছে কেন্দ্র সরকার।
তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কার মধ্যেই রাজ্যের জন্য অতিরিক্ত ২৯ লক্ষাধিক কোভিড প্রতিষেধক বরাদ্দ করল কেন্দ্র সরকার। চলতি মাসে রাজ্যের বরাদ্দ থেকে ৭ লক্ষাধিক অতিরিক্ত টিকা পাঠিয়েছে কেন্দ্র সরকার। অগস্টে আরও ২২ লক্ষাধিক টিকা পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। সোমবার রাতে বাংলার জন্য অতিরিক্ত টিকা বরাদ্দের বিষয়টি স্বাস্থ্য দফতরকে চিঠি পাঠিয়ে জানানো হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্ট দফতরের টিকাকরণের সঙ্গে যুক্ত এক শীর্ষ আধিকারিক। স্বাভাবিক ভাবেই রাজ্যে টিকার পরিমাণ বাড়লে টিকাকরণেও গতি আসবে বলে জানান রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা।
অগস্ট মাসে রাজ্যের জন্য প্রায় ৭৩ লক্ষ টিকা বরাদ্দ করেছিল কেন্দ্র সরকার। এ বার আরও ২২ লক্ষাধিক টিকা আসার আশ্বাসে রাজ্যে টিকা নিতে যে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে, তা থেকে সাময়িক স্বস্তি মিলবে বলে অনুমান। রাজ্যের জন্য অতিরিক্ত ২০ লক্ষ কোভিশিল্ড এবং আড়াই লক্ষ মতো অতিরিক্ত কোভ্যাক্সিন টিকা অগস্টের শেষ সপ্তাহের মধ্যেই চলে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই মঙ্গলবার সকালে ১ লক্ষেরও বেশি কোভ্যাক্সিন চলে এসেছে বাগবাজারের রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের মেডিক্যাল স্টোরে। এই দিন বিকেলে আরও ৬ লক্ষ কোভিশিল্ড আসার কথা রয়েছে বলে জানান এক স্বাস্থ্য আধিকারিক।
সোমবার এক দিনে ৫ লক্ষাধিক টিকাকরণ করে মাইল ফলক ছুঁয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। একই সঙ্গে রাজ্যে মোট এক কোটি মানুষ কোভিডের দ্বিতীয় টিকা পেলেন। এর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিক বার জানিয়েছিলেন, রাজ্য দৈনিক পাঁচ লক্ষাধিক টিকাকরণের পরিকাঠামো তৈরি রেখেছে। কেন্দ্র টিকা পাঠালেই রাজ্য জোর কদমে টিকাকরণ শুরু করে দেবে। জুলাই মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠকে বাংলার জন্য আরও টিকা চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর আবেদনের পর জুলাই মাসে বরাদ্দের থেকে বেশি টিকা পাঠিয়েছিল কেন্দ্র। এ বার টিকা বরাদ্দের পরিমাণ আরও বাড়ল। রাজ্যে ট্রেন চালু করার জন্য গ্রামাঞ্চলে টিকাকরণ জরুরি বলে জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের অতিরিক্ত টিকা আসায় সেই কাজেও জোর দেওয়া হবে বলে জানান এক স্বাস্থ্য কর্তা।