অমিতাভ চক্রবর্তী। ফাইল চিত্র।
নারদ-কাণ্ডের এফআইআরে যাঁদের নাম রয়েছে, তাঁদের সকলের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিক সিবিআই। এমনটাই দাবি করলেন নারদ-কাণ্ডে জনস্বার্থ মামলাকারী তথা কংগ্রেস নেতা অমিতাভ চক্রবর্তী।
সোমবার রাজ্যের দুই মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং ফিরহাদ হাকিম-সহ কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র ও প্রাক্তন মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়কে সিবিআইয়ের গ্রেফতারি নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়ায় রাজ্য রাজনীতিতে। এর পরেই সোমবার সন্ধ্যায় লিখিত বিবৃতি প্রকাশ করেন অমিতাভ। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘রাজ্য সরকার যদি ঠিক মতো তদন্ত করত এবং ঠিক সময়ে এফআইআর করত তবে আমাকে আদালতের কাছে সিবিআই তদন্তের আবেদন করার দরকার পড়ত না। অবাক হয়ে দেখলাম, কলকাতা হাইকোর্টের দেওয়া সিবিআই তদন্তের নির্দেশকে রাজ্য সরকার চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গেল। সুপ্রিম কোর্ট কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশকেই বহাল রাখল। এক জন আবেদনকারী হিসেবে সঠিক বিচার আশা করব এবং একই সঙ্গে অন্য যাঁদের নাম এফআইআরে আছে তাঁদের বিরুদ্ধেও সিবিআই একই ভাবে চার্জশিট দেবে সেই আশা করছি।’’
সুব্রত-ফিরহাদ-মদন- শোভন-কে গ্রেফতারের পরেই তৃণমূল শিবির প্রশ্ন তোলে এক যাত্রায় পৃথক ফল কী ভাবে? নারদ-কাণ্ডে অভিযুক্ত বিজেপি বিধায়ক মুকুল রায় ও শুভেন্দু অধিকারীকে কেন গ্রেফতার করা হল না? পাল্টা বিজেপি দাবি করে, নারদ-কাণ্ডে অভিযুক্ত সকলকে এখনও গ্রেফতার করেনি। সাংসদ সৌগত রায়, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় ও অপরূপা পোদ্দারকে এখনও সিবিআই জেরার জন্য তলব করেনি। তাই সব কিছুকে এক করে দেখা উচিত নয়। কিন্তু কংগ্রেস নেতা অমিতাভ নাম না-করে সব অভিযুক্তের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেছেন।
অমিতাভ বলেছেন, ‘‘জনস্বার্থ মামলার আবেদনকারী হিসেবে আমি চেয়েছিলাম নারদ-কাণ্ডের প্রকৃত তদন্ত হোক। আমার যত দূর মনে পরে বাংলার কোনও নেতা-মন্ত্রীকে এ ভাবে হাত পেতে টাকা নিতে টিভির পর্দায় দেখিনি। এ সব অন্য রাজ্যে হয়, বাংলায় হয় না। সে জন্যই কলকাতা হাই কোর্টের কাছে আমার আবেদন ছিল যে, যিনি স্টিং অপারেশন করেছেন তিনি অপরাধী, না যে সব নেতাদের টাকা নিতে দেখা গেছে তাঁরা অপরাধী, সেটাই বিচার হোক। সিবিআই আমাকে যখন ডেকেছিল তখনও একই কথা তাঁদেরও বলেছিলাম।’’ সোমবার সন্ধ্যায় জামিন পান চার নেতা। জামিন প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য না করে অভিনেতা বলেছেন, ‘‘কে জামিন পেল বা পেল না তা নিয়ে আমার বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই। আমি শুধু সঠিক বিচার চাই।’’