Kolkata Doctors Rape-Murder Case

আরজি করের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে আরও কয়েক জন সন্দেহভাজনকে! তাঁরা কারা? খুঁজছে সিবিআই

দিন কয়েক আগেই এই ঘটনায় সন্দীপ ঘোষ এবং অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। মঙ্গলবার সন্দীপদের আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। শুনানির সময় সিবিআই আদালতে সিসিটিভি প্রসঙ্গ উল্লেখ করে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১১:২২
CBI said to Sealdah court that some suspected persons shown in seized CCTV  footage

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

৯ অগস্ট রাতে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে কারা কারা ছিলেন, সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে সিবিআই। তাদের হাতে রয়েছে হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ। তাতে অভিযুক্ত ছাড়াও আরও কয়েক জনকে দেখা গিয়েছে, মঙ্গলবার শিয়ালদহ আদালতে এমনই জানিয়েছে সিবিআই। তবে তাঁরা কারা, তা এখনও জানা যায়নি। সিবিআই জানিয়েছে, সন্দেহভাজনদের খোঁজ চলছে। এ ব্যাপারে ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদও করা হচ্ছে বলে আদালতে জানিয়েছে সিবিআই।

Advertisement

আরজি করের মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার পরই পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন এক সিভিক ভলান্টিয়ার। অভিযোগ, ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার সঙ্গে তিনি সরাসরি জড়িত। এ ছাড়াও দিন কয়েক আগেই এই ঘটনায় আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার তৎকালীন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। মঙ্গলবার সন্দীপদের শিয়ালদহ আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। শুনানির সময়ে সিবিআই আদালতে সিসিটিভি প্রসঙ্গ উল্লেখ করে।

হাই কোর্টের নির্দেশের পরই আরজি কর-কাণ্ডের তদন্তভার হাতে নেয় সিবিআই। তার পরই টালা থানার থেকে বাজেয়াপ্ত হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে তারা। সেই সব ফুটেজ পরীক্ষার জন্য ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের কাছে পাঠানো হয়েছিল বলেও আদালতে জানায় সিবিআই। তাদের দাবি, বিশেষজ্ঞেরা ফুটেজ পরীক্ষা করে রিপোর্ট দিয়েছেন।

মঙ্গলবার আদালতে সিবিআই আরও দাবি করেছে, ঘটনার দিন, অর্থাৎ ৯ অগস্ট চিকিৎসকের মৃতদেহ উদ্ধারের পর থেকে সন্দীপ ও অভিজিতের মোবাইলে সবচেয়ে বেশি কথাবার্তা হয়েছিল, দেখা গিয়েছে কল ডিটেলসে। বেশ কয়েকটি ‘সন্দেহজনক’ মোবাইল নম্বরেও তাঁরা বার বার কথা বলেছেন। সে বিষয়ে আরও জেরা এবং অনুসন্ধান প্রয়োজন। টালা থানা থেকে সিসি ক্যামেরার যে হার্ড ডিস্ক উদ্ধার করা হয়েছে, তা পরীক্ষা করে দেখা প্রয়োজন বলে জানিয়েছে সিবিআই। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গণধর্ষণের কোনও প্রমাণ মেলেনি বলে শীর্ষ আদালতে জানিয়েছে সিবিআই।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টেও আরজি কর মামলার শুনানি ছিল। সেই শুনানিতে উঠে আসে সিসিটিভি ফুটেজের বিষয়টিও। শুনানিতে সিসিটিভি ফুটেজ নিয়ে রাজ্য এবং সিবিআইয়ের দু’ধরনের বক্তব্য শোনা যায়। প্রশ্ন ওঠে, কলকাতা পুলিশ কেন ২৭ মিনিটের ফুটেজ দিল? বাকি ফুটেজ কেন দেওয়া হল না? তবে রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল জানান, পুলিশ ৭-৮ ঘণ্টার ফুটেজ দিয়েছে। যদিও সিবিআইয়ের তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা তাতে আপত্তি জানান। আগের মন্তব্যেই অনড় থাকেন তিনি। শিয়ালদহ আদালতে সিবিআই যে সিসিটিভি ফুটেজের কথা বলেছে, তা কত মিনিটের, স্পষ্ট করা হয়নি।

আরও পড়ুন
Advertisement