ফাইল ছবি।
ফের জটিলতা উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগে। একাধিক অভিযোগের জেরে আপাতত নিয়োগ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট।
বুধবার, হাই কোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি) জানায়, এত বিপুল সংখ্যক অভিযোগ খতিয়ে দেখতে আরও সময় প্রয়োজন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তারা সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখে উঠতে পারেনি। কমিশনের বক্তব্য শুনে বেঞ্চ বলে, সমস্ত অভিযোগের নিষ্পত্তির জন্য আরও ৩ মাস সময় দেওয়া হবে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে। তবে এই সময়ের মধ্যে তারা কোনও নিয়োগ করতে পারবে না। শিক্ষা দফতরের সহ-অধিকর্তাকে প্রতিটি অভিযোগ খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
২০১৬ সালে উচ্চ প্রাথমিকে ১৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করে এসএসসি। কিন্তু প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন অভিযোগ উঠতে থাকে। আদালতের দ্বারস্থ হন একাধিক আবেদনকারী। গত জুলাই মাসে কলকাতা হাই কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, সচিব পদমর্যাদার আধিকারিকদের দিয়ে ৩ মাসের মধ্যে এই সংক্রান্ত সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখে নিষ্পত্তি করতে হবে। সেই মামলাতেই বুধবার কমিশন আদালতে জানায়, অভিযোগের সংখ্যা ২৫ হাজারের বেশি। আদালতের দেওয়া ৩ মাস সময়ের মধ্যে এসএসসি সাড়ে ৬ হাজার অভিযোগের নিষ্পত্তি করতে পেরেছে। তাই বাকি অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্য আরও ৩ মাস সময় দেওয়া হোক। ডিভিশন বেঞ্চ এসএসসি-র সেই আর্জি মেনে নেয়। কোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ এসএসসি-কে আরও অতিরিক্ত ৩ মাস সময় মঞ্জুর করেছে। পাশাপাশি সচিব পদমর্যাদার আধিকারিকের অভাব থাকায়, গ্রুপ- এ পর্যায়ের আধিকারিকদের দিয়ে অভিযোগ খতিয়ে দেখা এবং নিষ্পত্তির কাজ করাতেও নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট।
মামলাকারীর আইনজীবী ফিরদৌস শামিম বলেন, ‘‘আমরা চাই যত দ্রুত সম্ভব অভিযোগের নিষ্পত্তি হোক। পুরো ব্যাপারটা এসএসসি-কে দেখতে হবে, যাতে কোনও বিলম্ব ছাড়াই প্রক্রিয়া শেষ করা যায়। ইতিমধ্যেই অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে।’’
১৫ সপ্তাহ পর ফের এই মামলার শুনানি হবে হাই কোর্টে।