Calcutta High Court

সন্দেশখালির মাম্পির স্বস্তি হাই কোর্টে, নতুন করে নিম্ন আদালতে আবেদন করবে না পুলিশ, শুক্রে শুনানি

নতুন মামলা দিয়ে গ্রেফতার করা হতে পারে, এই আশঙ্কা করে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সন্দেশখালির বিজেপি নেত্রী মাম্পি দাস। শুক্রবার তাঁর মামলার শুনানি। তার আগে পদক্ষেপ করবে না পুলিশ।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ মে ২০২৪ ১৫:০৩
সন্দেশখালির বিজেপি নেত্রী মাম্পি দাস।

সন্দেশখালির বিজেপি নেত্রী মাম্পি দাস। —ফাইল চিত্র।

সন্দেশখালির বিজেপি নেত্রী মাম্পি ওরফে পিয়ালি দাস কিছুটা স্বস্তি পেলেন কলকাতা হাই কোর্টে। তাঁর বিরুদ্ধে নিম্ন আদালতে নতুন করে কোনও আবেদন এখনই করছে না রাজ্য পুলিশ। বৃহস্পতিবার হাই কোর্ট থেকে সেই আশ্বাস পেয়েছেন মাম্পি। তাঁর মামলাটির শুনানি হবে শুক্রবার। অন্য দিকে, বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রের মামলার শুনানিও হাই কোর্টে হবে শুক্রবারই।

Advertisement

নতুন মামলা দিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করা হতে পারে, এই আশঙ্কা করে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মাম্পি। বৃহস্পতিবার হাই কোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের বেঞ্চে তাঁর মামলাটির শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিচারপতি সেনগুপ্তের বেঞ্চ বৃহস্পতিবার বসেনি। তাই বিচারপতি অমৃতা সিংহের বেঞ্চে মামলাটি গিয়েছে।

আদালতে মাম্পির আইনজীবী রাজদীপ মজুমদার জানান, তাঁর মক্কেল নিম্ন আদালতে জামিন চাইতে গেলে নতুন মামলা দিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রথমে জামিনযোগ্য ধারা দেওয়া হলেও পরে জামিন-অযোগ্য ধারা যুক্ত করা হয়। বেআইনি ভাবে ওই গ্রেফতার করা হয়েছে বলে আদালতে জানিয়েছেন মাম্পির আইনজীবী। তাঁর আশঙ্কা, এখন ১০ দিন পুলিশি হেফাজতে রেখে আবার নতুন মামলা দিয়ে মাম্পিকে গ্রেফতার করা হতে পারে। নিম্ন আদালতে সেই আবেদন করতে পারে পুলিশ।

মাম্পির আইনজীবীর বক্তব্য শুনে বিচারপতি সিংহ রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি) কিশোর দত্তের বক্তব্য জানতে চান। এজি আশ্বাস দেন, শুক্রবার হাই কোর্টে এই মামলার শুনানি না হওয়া পর্যন্ত পুলিশ এমন কোনও পদক্ষেপ করবে না। এজির বক্তব্যে সন্তুষ্ট হন বিচারপতি। জানান, বিচারপতি সেনগুপ্তের বেঞ্চেই মামলার শুনানি হবে শুক্রবার।

সন্দেশখালির ঘটনায় বহু অভিযোগে বার বার উঠে এসেছে মাম্পির নাম। তার মধ্যে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণের অসত্য মামলা রুজু করানোর মতো অভিযোগও রয়েছে। সম্প্রতি, সন্দেশখালির এক গৃহবধূও সেই অভিযোগ করেন সন্দেশখালি থানায়। পুলিশকে তিনি জানান, তাঁর গ্রেফতার হওয়া ভাইকে ছাড়ানোর শর্তে ধর্ষণের অসত্য অভিযোগ দায়ের করতে বলেছিলেন এই মাম্পি। পরে অভিযোগ তুলে নিতে চাইলে বিজেপির তরফে তাঁকে শাসানোও হয়। মাম্পি ওরফে পিয়ালির নাম শোনা গিয়েছিল সন্দেশখালির ‘স্টিং’ ভিডিয়োতে, গঙ্গাধর কয়ালের মুখেও। (আনন্দবাজার অনলাইন সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি।)

একের পর এক অভিযোগ আসায় গ্রেফতারি এড়াতে বসিরহাট আদালতে অগ্রিম জামিন চাইতে গিয়েছিলেন মাম্পি। আদালত তাঁকে সাত দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়। এই নির্দেশের বিরুদ্ধেই হাই কোর্টে মামলা করেন মাম্পি।

অন্য দিকে, বিচারপতি সেনগুপ্তের এজলাস না বসায় বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখার মামলার শুনানিও হয়নি বৃহস্পতিবার। ওই মামলাটিও শুক্রবার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।

আরও পড়ুন
Advertisement