বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
মৃত মায়ের পেনশনের টাকা সন্তানকে দেওয়া হোক। দাদুর আর্জি শুনে এজলাস থেকেই নিম্ন আদালতের বিচারককে ফোন করলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বুধবার তিনি পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা বিচারককে ফোন করে মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দেন।
পূর্ব মেদিনীপুরের প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা শিউলি বর্মন ২০২০ সালের অগস্টে প্রয়াত হন। তাঁর একটি পুত্রসন্তান রয়েছে। বুধবার হাই কোর্টে এসে শিউলির বাবা জীবনানন্দ বর্মনের আবেদন, মেয়ের পেনশনের টাকা নাতিকে দেওয়ার নির্দেশ দিক আদালত। তার কারণ হিসাবে তিনি জানান, বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলাকালীনই মেয়ের মৃত্যু হয়। তাঁর অভিযোগ, মেয়ের মৃত্যুর পর নাতিকে দেখেন না জামাই।
জীবনানন্দকে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় প্রশ্ন করেন, নাতির অভিভাবকত্ব চেয়ে তিনি কোনও মামলা করেছেন কি না। বিচারপতির প্রশ্নের উত্তরে জীবনানন্দের আইনজীবী জানান যে, পূর্ব মেদিনীপুরের নিম্ন আদালতে একটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। সেটির এখনও নিষ্পত্তি হয়নি। এর পরে এজলাসে বসেই বিচারককে ফোন করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশ, বিষয়টি খতিয়ে দেখে দ্রুত এই মামলাটির নিষ্পত্তি করতে হবে।