—প্রতীকী ছবি।
মেদিনীপুর সংশোধনাগারে তরুণের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় সবিস্তার মেডিক্যাল রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাই কোর্ট। শেখ হোসেন আলি নামে ওই তরুণের মৃত্যুর মামলায় মঙ্গলবার বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের নির্দেশ, ৮ অগস্ট মামলার পরবর্তী শুনানিতে তাম্রলিপ্ত হাসপাতালে মৃতের ময়না তদন্ত-সহ বিস্তারিত রিপোর্ট পেশ করতে হবে। ওই ময়না তদন্তের রিপোর্টে একাধিক অসঙ্গতি আছে বলেও এ দিন অভিযোগ করেছেন মৃতের
পরিবারের আইনজীবী।
আদালতের খবর, এক নাবালিকাকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। গত ১ জুলাই তমলুকের আদালত তাঁকে তমলুক সংশোধনাগারে
পাঠায়। ৪ জুলাই মেদিনীপুর সংশোধনাগারে স্থানান্তরিত করা হয় হোসেনকে। সেখানেই ৫ জুলাই দেহ উদ্ধার হয় তাঁর। সেই মৃত্যুর যথাযথ তদন্তের আর্জি নিয়েই হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে ওই তরুণের পরিবার।
হোসেনের পরিবারের আইনজীবী প্রবীর মিত্র এ দিন কোর্টে অভিযোগ করেন যে, পুলিশ, সংশোধনাগারের সুপার এবং চিকিৎসকেরা মিলে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। ময়না তদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, মৃতের মাথায় আঘাত, শরীরে মারধরের চিহ্ন ও পায়ের নীচে কাটা দাগ আছে। এক জেল থেকে অন্য জেলে স্থানান্তরের সময়ে ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতিও নেওয়া হয়নি। এই ঘটনার তদন্তভার স্থানীয় পুলিশের হাত থেকে সরিয়ে সিআইডিকে দেওয়ার আর্জিও জানান ওই আইনজীবী।
রাজ্যের কৌঁসুলি আদালতে জানান যে, তমলুক থানার সিসিটিভি তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে কিন্তু মেদিনীপুর সংশোধনাগারে সিসিটিভি নেই। এ ছাড়াও, ময়না তদন্তের সময়ে মৃতের পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা আসেননি। সব পক্ষের বক্তব্য শোনার পরে বিচারপতি সবিস্তার রিপোর্ট তলব করেন।