ডাক্তারদের সংগঠনকে ধর্মতলায় ধর্নার অনুমতি দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
ধর্মতলায় মেট্রো চ্যানেলে ধর্নায় বসতে পারবেন ডাক্তারেরা। জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টর্স ফোরামকে ধর্নার অনুমতি দিল কলকাতা হাই কোর্ট। পুলিশের কাছে অনুমতি না-পেয়ে তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। আগামী ২০ ডিসেম্বর থেকে ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত তাঁরা ধর্না চালিয়ে যেতে পারবেন। হাই কোর্ট জানিয়েছে, কিছু শর্ত মানতে হবে ডাক্তারদের। ২০০-র বেশি লোক নিয়ে ধর্না কর্মসূচি করা যাবে না।
ধর্নার জন্য আরও কিছু শর্ত মানতে হবে ডাক্তারদের। তবে বৃহস্পতিবার সব শর্ত জানানো হয়নি। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ জানিয়েছেন, ডাক্তারদের দাবিগুলি রাজ্যকে জানাতে হবে। কোন দাবিতে কী আপত্তি, তা আদালতে জানাবে রাজ্য। সেই অনুযায়ী বিবেচনা করে শুক্রবার আদালত ধর্নার বাকি শর্ত জানাবে।
আরজি করের মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় তথ্যপ্রমাণ লোপাট এবং কর্তব্যে গাফিলতি মামলায় ৯০ দিন পেরিয়ে গেলেও চার্জশিট দিতে পারেনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই, যা নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে। বিচারের দাবিতে নতুন করে আবার পথে নেমেছেন চিকিৎসকেরা। সিবিআই চার্জশিট দিতে না-পারায় এই মামলায় ধৃত আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের জামিন মঞ্জুর করে আদালত। এরই প্রতিবাদে ধর্মতলায় ধর্না কর্মসূচি করতে চেয়েছিলেন প্রতিবাদী চিকিৎসকদের একাংশ।
ধর্নার অনুমতি চেয়ে জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টর্স কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে ইমেল করেছিল। তাদের শান্তিপূর্ণ অবস্থানের কারণে সাধারণ মানুষের কোনও সমস্যা হবে না বলেও দাবি করেছিল ডাক্তারদের ওই সংগঠন। পুলিশ অনুমতি দেয়নি। ডাক্তারদের জানানো হয়েছিল, ডোরিনা ক্রসিংয়ের মতো জায়গায় এই ধরনের কর্মসূচির জেরে যানজট সৃষ্টি হতে পারে, আশঙ্কা লালবাজারের। প্রাক্ বর্ষবরণ এবং বড়দিনের কারণে ধর্মতলায় প্রচুর ভিড় হয়। ধর্মতলার মতো ব্যস্ত জায়গায় তাই ধর্না কর্মসূচির অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়। এর পরই ধর্নার অনুমতি চেয়ে হাই কোর্টে যায় জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টর্স।
চিকিৎসকদের ওই সংগঠন ১৭ ডিসেম্বর থেকে ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ধর্নায় বসতে চেয়েছিল। কিন্তু আদালতে মামলার কারণে দেরি হয়েছে। অনুমতি মেলার পর ২০ থেকে ২৬ ডিসেম্বর কর্মসূচি হবে। অর্থাৎ, ২৫ ডিসেম্বর, বড়দিনেও ধর্না চলবে।