কলকাতা হাই কোর্ট। —ফাইল চিত্র।
বারুইপুর সংশোধনাগারে বিচারাধীন বন্দির মৃত্যুর ঘটনায় রাজ্য পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দলকে (সিট) দু’সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলল কলকাতা হাই কোর্ট। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরের নেপালগঞ্জের গফুর মোল্লা নামে ওই বন্দিকে পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। সেই মামলায় সোমবার বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের নির্দেশ, তদন্ত করে রিপোর্ট পেশ করবে সিট।
বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, ময়না তদন্তের রিপোর্টে মৃতের কনুই ও হাঁটুতে ক্ষতচিহ্নের উল্লেখ থাকা সত্ত্বেও কেন এক বছরেও হেফাজতে মারধরের তদন্ত হয়নি? কে মারধর করেছে তা চিহ্নিত করে গ্রেফতারের কথাও জানান তিনি। গফুরের পরিবারের আইনজীবী শামিম আহমেদ আদালতে জানান, ২০২৩-এর ২৮ অগস্ট আবগারি দফতর বেআইনি মদ বিক্রির অভিযোগে গফুরকে গ্রেফতার করে। তাঁকে বিষ্ণুপুর থানার লকআপে রাখা হয়। ২৯ অগস্ট জেল হেফাজত হয়। ১ সেপ্টেম্বর জেল কর্তৃপক্ষ বারুইপুর হাসপাতালে ভর্তি করান। ২ সেপ্টেম্বর মারা যান গফুর। অভিযোগ, হেফাজতে মারধরের ফলেই মৃত্যু।
এ দিন রাজ্য তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয়। তা দেখে বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, আবগারি দফতর, থানা বা সংশোধনাগার, এর মধ্যেই কোথাও মারধরের ঘটনা ঘটেছে। কেন গফুরকে নিম্ন আদালতে সশরীরে হাজির করানো হয়নি, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। রাজ্যের কৌঁসুলি সদুত্তর না দিতে পারায় দু’সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলেন। পরবর্তী শুনানি ২৩ ডিসেম্বর।