PM Modi Oath Ceremony

আবার ‘স্যর’ হলেন সুকান্ত, এ বার কলেজে নয়, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসাবে দিল্লির দফতরে

সুকান্তের ব্যর্থতার কাঁটাও রয়েছে বলে অনেকে মনে করেন। তাঁর নেতৃত্বে লোকসভায় খারাপ ফল করে বিজেপি। তাই তাঁকে রাজ্য সভাপতি পদ থেকে সরানোর জন্য মন্ত্রী করা হয়েছে কি না সেই প্রশ্ন উঠেছে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৯ জুন ২০২৪ ২১:৩২
A photograph of BJP leader Sukanta Majumdar

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসাবে শপথ নিচ্ছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। নিজস্ব চিত্র।

তৃতীয় মোদী সরকারের মন্ত্রিসভায় শপথ নিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁকে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে সুকান্তকে কোন মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী করা হচ্ছে, তা এখনও জানানো হয়নি। সুকান্তকে যে মন্ত্রী করা হচ্ছে, রবিবার সকালেই তা জানানো হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রিসভার সচিব রাজীব গৌড়া তাঁকে চিঠি পাঠিয়ে এ কথা জানিয়েছিলেন। বাংলা থেকে মোদীর মন্ত্রিসভায় দু’জন জায়গা পেয়েছেন। সুকান্তের পাশাপাশি এ রাজ্য থেকে মন্ত্রী করা হয়েছে বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুরকে।

Advertisement

প্রথম বার সাংসদ হিসাবে রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়েছিল সুকান্তের। কলেজের অধ্যাপক হিসাবে এলাকায় পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির জন্য পদ্মশিবিরের নজরে পড়েন তিনি। বিজেপির একটি সূত্রে খবর, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে তৎকালীন বিজেপি নেতা মুকুল রায় সুকান্তকে টিকিট দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে প্রস্তাব দেন। সেই মতো বালুরঘাট থেকে বিজেপির টিকিট পান সুকান্ত। সেখান থেকে জয়ীই হন তিনি। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে প্রায় ৩৩ হাজার ভোটে বিপক্ষকে পরাজিত করেন বিজেপি প্রার্থী। সাংসদ হিসাবে সুখ্যাতি জোটে সুকান্তের। লোকসভার সেরা সাংসদের তালিকায় তাঁর নাম উঠে আসে। এর জন্য তিনি পুরস্কৃতও হন। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচন সুকান্তের রাজনৈতিক জীবনে বড় পরিবর্তন নিয়ে আসে। ওই বছর তিনি বিজেপির রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব পান।

২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে ক্ষমতা দখল তো দূর, বাংলায় আশানুরূপ ফল করতে পারেনি বিজেপি। তৎকালীন রাজ্য সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় দিলীপ ঘোষকে। শিকে ছেঁড়ে সুকান্তের ভাগ্যে। রাজ্য বিজেপির মাথায় তাঁকে নিয়ে আসা হয়। সেই থেকে ওই পদে তিনি রয়েছেন। এই সময়ে তাঁর নেতৃত্বে রাজ্যে তিনটি নির্বাচনে লড়েছে বিজেপি। পুরসভা, পঞ্চায়েত ও লোকসভা ভোটে দলকে নেতৃত্ব দেন সুকান্ত। দলের একাংশ মনে করে, দিলীপের তুলনায় সুকান্তের আমলে পঞ্চায়েত ভোটে ভাল করে বিজেপি। গ্রাম বাংলায় তাঁর নেতৃত্বে প্রায় ১১ হাজার আসন জেতে বিজেপি। আর দিলীপের সময় তা ছিল প্রায় ছ’হাজার।

সুকান্তের ব্যর্থতার কাঁটাও রয়েছে বলে অনেকে মনে করেন। তাঁর আমলে লোকসভায় খারাপ ফল করে বিজেপি। ২০১৯ সালের লোকসভার তুলনায় এ বার রাজ্যে বিজেপির আসনসংখ্যা কমে যায়। যদিও নিজের আসনে দ্বিতীয় বার জয়ী হন সুকান্ত। গত কয়েক দিন ধরে জল্পনা ছিল, তৃতীয় এনডিএ সরকারে মন্ত্রী করা হতে পারে সুকান্তকে। শেষ পর্যন্ত হলও তাই। মোদীর মন্ত্রিসভায় ঢুকলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। বিজেপি সূত্রে খবর, এ বার হয়তো সুকান্তকে রাজ্য সভাপতি পদ থেকে সরানো হবে। সুকান্ত-ঘনিষ্ঠ এক নেতার কথায়, ‘‘বালুরঘাটের সাংসদ সভাপতি হিসাবেই সংগঠনের কাজ করতে চেয়েছিলেন। রাজ্যে সুকান্ত-শুভেন্দু জুটি ভাল লড়াই করেছে। কিন্তু দলের নির্দেশ মেনে প্রতিমন্ত্রী হয়েই দায়িত্ব নিতে হল সুকান্তকে।’’ রাজ্য বিজেপির অনেক নেতা মনে করছেন, রাজ্যে খারাপ করলেও সুকান্তের পদোন্নতি হল। রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে রাষ্ট্রপতি ভবনে শপথ নিলেন সুকান্ত।

Advertisement
আরও পড়ুন