বীরভূমের সেই চপের দোকান। নিজস্ব চিত্র।
তেলেভাজার দোকানের নাম ‘চপ শিল্প’। ঠিকানা বীরভূম জেলার সিউড়ি শহর। শুধু চপ নয়, চা-ও পাওয়া যায় সেখানে। কিন্তু সে সব নিয়ে নয়, দোকানের নাম নিয়েই যত হইচই। সিউড়ির মাদ্রাসা রোডের ওই দোকানের ছবি দিয়ে বিজেপি-র বীরভূমের সোশ্যাল মিডিয়া সামলানোর দায়িত্বে থাকা প্রতীক চক্রবর্তী একটি টুইট করেন। পরে সেই টুইটটি শেয়ার করেছেন রাজ্য বিজেপি-র প্রাক্তন সভাপতি তথা তিন রাজ্যের প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায়। তিনি আবার দোকানের ঠিকানা ‘মাদ্রাসা রোড’ নিয়ে কটাক্ষ করেছেন। রি-টুইট করে তথাগত অবশ্য বেশি কথা লেখেননি। তবে তাঁর ‘সেও আবার মাদ্রাসা মোড়ে!’ মন্তব্য যথেষ্টই ইঙ্গিতপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
খুব বেশিদিনের দোকান নয়। দুই ভাই আফতাবউদ্দিন ও আফতারউদ্দিন খান জুলাই মাসের শেষ দিকেই এই খাবারের দোকানটি চালু করেছেন। নানা রকমের চপ ছাড়াও বিক্রি হয় সিঙারা, ডালপুরি। বীরভূমের প্রিয় জলখাবার ঘুগনি-মুড়ি এবং চা বাটার টোস্টও পাওয়া যায়। শুধু দোকান থেকেই বিক্রি নয়, অনুষ্ঠান বাড়ির জন্য অর্ডার নেওয়ার সুবিধাও রেখেছে খান ভাইদের ‘চপ শিল্প’।
সেও আবার মাদ্রাসা মোড়ে ! https://t.co/kG5kRg0I9H
— Tathagata Roy (@tathagata2) August 7, 2021
দোকানের এমন নাম রাখলেন কেন? আফতারউদ্দিনের বক্তব্য, ‘‘আমি রাখিনি। ভাই রেখেছে। তবে এর মধ্যে কোনও রাজনীতি নেই। কথাটা মুখে মুখে প্রচলিত তাই রেখেছে। আমরা দু’ভাই রাজনীতি থেকে অনেক দূরত্ব রেখে চলি।’’
আফতারউদ্দিন রাজনীতি থেকে দূরে থাকার কথা বললেও সেটা আর থাকা যায়নি। বীরভূমের প্রতীক টুইটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না করলেও সমাচোলনা যে তাঁকেই তা স্পষ্ট করে লিখেছেন, ‘কে বলেছে রাজ্যে শিল্প আসেনি? মাননীয়ার অনুপ্রেরণায় অনুপ্রাণিত হয়ে সিউড়িতেই গড়ে উঠেছে ‘চপ শিল্প’।’ রাজ্যের প্রথম সারির বিজেপি নেতাদের ট্যাগও করেছেন তিনি।