এবার থেকে বিধানসভার অধিবেশনে নির্দিষ্ট ‘ড্রেস কোড’ মেনে আসবেন বিজেপি বিধায়করা। শুক্রবার অধিবেশনের প্রথম দিনেই শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে ‘ড্রেস কোড’ মেনে এসেছিলেন তাঁরা। নিজস্ব চিত্র।
নতুন বিধানসভার প্রথম অধিবেশন শুরু হয়েছে শুক্রবার। এখন মুকুল রায়কে বাদ দিয়ে বিজেপি-র বিধায়ক সংখ্যা ৭৪। প্রথম দিনে হাজির ছিলেন ৭০ জন। তাঁদের প্রায় সকলের পরনেই ছিল এক ধরনের পোশাক। সাদা পাজামা, পাঞ্জাবির সঙ্গে গলায় গেরুয়া উত্তরীয়। আর কপালে গেরুয়া তিলক। মহিলা বিধায়কদের কপালেও ছিল গেরুয়া তিলক। এ ব্যাপারে পুরুষ মহিলা সবাই এক। আর একটা মিল ছিল পুরুষ ও মহিলা বিধায়কদের পোশাকে। সকলেরই গলায় ঝুলেছে গেরুয়া উত্তরীয়।
প্রধান বিরোধী দলের সব বিধায়কের পরনে একই রকম পোশাক দেখে স্বাভাবিকভাবে কৌতুহলী সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। জবাবে তিনি বলেছেন, ‘‘গেরুয়া মানে সনাতন ভারত এবং স্বামী বিবেকানন্দের প্রতীক।’’ কিন্তু বিজেপি পরিষদীয় দল সূত্রে খবর, শুধু প্রথম দিনই নয়, এবার থেকে বিধায়কদের ‘ড্রেস কোড’ মেনেই অধিবেশনে যোগ দিতে হবে। এমনটাই নাকি নির্দেশ পরিষদীয় দলনেতা শুভেন্দুর।
১৯৫২ সাল থেকে বাম, কংগ্রেস, তৃণমূল তো বটেই জনতা পার্টি ও জনসঙ্ঘের বিধায়করাও নানা সময়ে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় সদস্য হয়েছেন। কিন্তু কখনও কোনও দলের পক্ষে বিধায়কদের ‘ড্রেস কোড’ বেঁধে দিতে দেখা যায়নি। তাই রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলের বিধায়কদের একই রকম পোশাকের সঙ্গে গেরুয়া তিলক ও উত্তরীয় নিয়ে বিধানসভায় অংশ নেওয়ার ঘটনাও এক কথায় নজিরবিহীন। বিজেপি-র এক বিধায়ক বলেন, ‘‘শুভেন্দুদার নির্দেশ মতো বিজেপি-র সব বিধায়কই এই রকম পোশাক বিধি মেনেই অধিবেশনে আসবেন। শুক্রবার সকলকেই সাদা পোশাক পরে আসতে বলা হয়েছিল। বিরোধী দলনেতার ঘরেই সকলের কপালে তিলক ও গলায় উত্তরীয় পরিয়ে দেওয়া হয়।’’ বিজেপি-র আর এক বর্ষীয়ান বিধায়কের কথায়, ‘‘বিধানসভায় এ বার আর বিরোধী হিসেবে বাম বা কংগ্রেসের কোনও প্রতিনিধি নেই। তাই আমরাই বিরোধী হিসেবে সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করব। আমরা যে একটি নির্দিষ্ট দর্শনে বিশ্বাসী, তা বোঝা যাবে এই পোশকে।’’