—ফাইল চিত্র।
নিজেরই স্কুলের পুনর্মিলন উৎসবে ডাক পেলেন না বিজেপির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। শিলিগুড়ির বিধায়ক তিনি। পড়াশোনা করেছেন শিলিগুড়ি বয়েজ হাই স্কুলে। সেই স্কুলেই শনি এবং রবিবার প্রাক্তন ছাত্রদের নিয়ে পুনর্মিলন উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল। অথচ স্কুলের প্রাক্তনী শিলিগুড়ির বিধায়কের কাছে কোন আমন্ত্রণপত্র পৌঁছয়নি। কেউ ফোনেও তাঁকে বলেননি স্কুলের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা। এ ব্যাপারে বিধায়ককে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেছেন, “আমি স্কুলের সামান্য ছাত্র। আয়োজকেরা নিশ্চয়ই মনে করেননি আমাদের আমন্ত্রণ করার মতো যোগ্যতা রয়েছে। তাই তাঁরা ডাকেননি।’’
শিলিগুড়ি বয়েজ় হাই স্কুলে প্রাক্তন ছাত্রদের পুনর্মিলন উৎসবের আয়োজনের দায়িত্বে ছিলেন স্বয়ং শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব। তিনিও এই স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র আবার রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের নেতাও। স্বাভাবিক ভাবেই তাঁর আয়োজিত স্কুলের অনুষ্ঠানে বিজেপি বিধায়ক ডাক না পাওয়ায় এর নেপথ্যে রাজনৈতিক কারণ রয়েছে কি না প্রশ্ন উঠেছিল। এর জবাবে আনন্দবাজার অনলাইনকে গৌতম বলেছেন, ‘‘ওপেন ফোরাম থেকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল প্রাক্তনীদের। দু’দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে যাঁরা নাম নথিভুক্ত করিয়েছিলেন, তাঁরাই এসেছিলেন। এমনও অনেকে ছিলেন, যাঁরা রবিবার এসে নাম নথিভুক্ত করে উৎসবে অংশ নিয়েছেন। আলাদা করে কাউকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।’’
যদিও শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্করের দাবি, তিনি এর আগে তাঁর স্কুলের শতবর্ষ-সহ বহু অনুষ্ঠানে সক্রিয় ভাবে অংশগ্রহণ করেছেন। কিন্তু ইদানীং আর স্কুলের অনুষ্ঠানে তাঁকে ডাকা হয় না। এমনকি, স্কুলে যে পুনর্মিলন উৎসব হচ্ছে, তা-ই জানতেন না তিনি। শঙ্করের কথায়, ‘‘নানা ব্যস্ততার কারণে স্কুলে কী হচ্ছে, তার খবর আমি পাইনি। আর আমাকে কেউ জানায়ওনি। বন্ধুবান্ধবদের মুখে শুনলাম এমন একটি অনুষ্ঠান হচ্ছে। তবে গৌতমদারা আয়োজনের দায়িত্বে ছিলেন। তাঁরা নিশ্চয়ই যাঁদের প্রয়োজন মনে করেছেন, তাঁদেরই ডেকেছেন। এ ব্যাপারে আমার কিছু বলার থাকতে পারে না। তবে একা আমি নই, আমার জানা অনেকেই আমন্ত্রণ পাননি।’’
শঙ্করের এই মন্তব্য প্রসঙ্গে শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম পাল্টা বলেছেন, ‘‘আসলে শঙ্কর তো কোনও দিনও প্রাক্তনীদের পুনর্মিলন উৎসবে আসেনি। ও যদি কোনও দিন আসে ওকে আমরা নিয়মটা বুঝিয়ে দেব।’’