Jagaddal Firing Incident

‘এত খারাপ সময় হয়নি যে আমি গুলি চালাব’! জগদ্দলকাণ্ডে পুলিশি তলব সত্ত্বেও গেলেন না অর্জুন

বুধবার রাতে অর্জুনের বাড়ির সামনে গুলি-বোমাবাজির ঘটনা ঘটে। জগদ্দলে মেঘনা মো়ড়ে মজদুর ভবনের সামনে ঘটা ওই ঘটনায় এক জন জখমও হয়েছেন। তৃণমূলের দাবি, জখম হওয়া যুবক তাদের দলের কর্মী।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৭ মার্চ ২০২৫ ১৪:২১
অর্জুন সিংহ।

অর্জুন সিংহ। —ফাইল ছবি।

উত্তর ২৪ পরগনার জগদ্দলে গুলি-বোমাবাজির ঘটনায় পুলিশি তলবে সাড়া দিলেন না বিজেপি নেতা অর্জুন সিংহ। উল্টে তাঁর বিরুদ্ধেই যে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে, তা নিয়ে ব্যারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ অর্জুনের মন্তব্য, ‘‘এত খারাপ সময় আসেনি যে আমি গুলি চালাব।’’

Advertisement

বুধবার রাতে অর্জুনের বাড়ির সামনে গুলি-বোমাবাজির ঘটনা ঘটে। জগদ্দলে মেঘনা মোড়ে মজদুর ভবনের সামনে ওই ঘটনায় এক জন জখমও হয়েছেন। তৃণমূলের দাবি, জখম হওয়া যুবক তাদের দলের কর্মী। অর্জুনই তৃণমূল কর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছেন। ওই ঘটনার তদন্তে নেমে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা নাগাদ অর্জুনকে তলব করে জগদ্দল থানার পুলিশ। যদিও বিজেপি নেতা থানায় হাজিরা দেননি। তৃণমূলের তোলা যাবতীয় অভিযোগও তিনি অস্বীকার করেছেন।

পরে আনন্দবাজার ডট কমের কাছে অর্জুন দাবি করেন, রাত ১০টা নাগাদ নিজের বাড়ির অফিসে ছিলেন তিনি। সেই সময় আচমকা দু’রাউন্ড গুলি চলে বাইরে। শুনেই তিনি বাইরে বেরিয়ে আসেন। দেখেন, কয়েক জন দৌড়ে পালিয়ে যাচ্ছেন। আর এক জনের পায়ে গুলি লেগেছিল। কিছু ক্ষণ পর স্থানীয়েরাই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান। গুলি চলার কিছু ক্ষণ পর ওই এলাকায় আবার বোমাবাজির ঘটনা ঘটে। অর্জুন বলেন, ‘‘গুলি-বোমাবাজির ঘটনার পর রাতেই মেল করে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করি। পরে জানতে পারি, রাতে আমার বিরুদ্ধেও একটা এফআইআর হয়েছে। পুলিশ আমার অভিযোগ নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করেনি। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে, তার ভিত্তিতেই আমায় ডেকে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু আমি যাইনি।’’

পাল্টা তৃণমূলের বক্তব্য, মেঘনা জুট মিলে দুই শ্রমিকের মধ্যে মারামারির ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় গন্ডগোল শুরু হয়েছিল। সেখানে নমিত সিংহ নামে এক তৃণমূল নেতা ছিলেন। সেই নমিতের ঘনিষ্ঠ সাদ্দাম হোসেন নামে এক যুবকের গুলি লেগেছিল। গুলি চালিয়েছেন খোদ অর্জুন। জগদ্দলের তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম বলেন, ‘‘অর্জুন সিংহের লোকজন মেঘনা মিলের ভিতর এক শ্রমিককে মারধর করে। এর পরেই উত্তেজনা বাড়ে। উনি নিজেই গুলি চালিয়েছেন।’’

অর্জুনের অবশ্য বক্তব্য, “এলাকায় সিসি ক্যামেরা আছে। সে সব খতিয়ে দেখুক পুলিশ। তা হলেই বোঝা যাবে কে গুলি চালিয়েছে।”

Advertisement
আরও পড়ুন