Lawlessness in Bengal

দিল্লিতে বঙ্গভবনে বিক্ষোভের ডাক তৃণমূল সাংসদের প্রাক্তন জামাইয়ের সংগঠনের, যোগ দিচ্ছেন বঙ্গ বিজেপির সাংসদেরা

যে সংগঠনের তরফে এই বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হয়েছে, সেটির নাম ‘লইয়ারস ফর জাস্টিস’। জাতীয়তাবাদী আইনজীবীদের সংগঠন হিসেবে রাজধানীতে এর পরিচিতি রয়েছে।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০২৫ ২০:৩২
Bengal BJP MPs, including Minister Sukanta, to join protest arranged by TMC’s MP’s ex son-in-law’s organisation in front of Banga Bhavan

গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দিল্লিতে। বিক্ষোভ কর্মসূচির প্রধান আয়োজক এক তৃণমূল সাংসদের প্রাক্তন জামাই। আর সে বিক্ষোভে সামনের সারিতে পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি সাংসদেরা। ৪ এপ্রিল এমনই কর্মসূচির সাক্ষী হতে চলেছে বঙ্গভবন। পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ‘চূড়ান্ত অবনতি’র অভিযোগ তুলে এই বঙ্গভবন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

যে সংগঠনের তরফে এই বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হয়েছে, সেটির নাম ‘লইয়ারস ফর জাস্টিস’। জাতীয়তাবাদী আইনজীবীদের সংগঠন হিসেবে রাজধানীতে এর পরিচিতি রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পরে যখন ‘ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসে’র অভিযোগ উঠছিল, তখন এই সংগঠন অনেককে আইনি সহায়তা দিয়েছিল। সন্দেশখালি পর্বেও এই সংগঠন সক্রিয় ছিল।

এ হেন ‘লইয়ারস ফর জাস্টিস’ ৪ এপ্রিল নয়াদিল্লির হ্যালি রোড-স্থিত বঙ্গভবনের সামনে যে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে, তার মূল কারিগর কবীরশঙ্কর বসু। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী কবীর শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ তথা বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রাক্তন জামাই। কবীর আবার ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে কল্যাণের বিরুদ্ধেই বিজেপি প্রার্থী ছিলেন। যে হেতু পশ্চিমবঙ্গের বিষয় নিয়ে আন্দোলনের ডাক, সে হেতু কবীরই মূল আয়োজকের ভূমিকায় থাকছেন বলে নয়াদিল্লি সূত্রের খবর। আনন্দবাজার ডট কমকে তিনি ফোনে বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বলতে কিছু নেই। হিন্দুদের উপর অবাধে অত্যাচার চলছে। রাজ্যের সব প্রান্ত থেকে অশান্তির খবর আসছে। তার প্রতিবাদেই আমরা বঙ্গভবনের সামনে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছি। কারণ দিল্লিতে ওটাই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মূল কেন্দ্র।’’

বঙ্গ বিজেপির সব সাংসদকেই ৪ এপ্রিলের এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে শামিল হতে অনুরোধ করেছে আইনজীবীদের সংগঠনটি। রাজ্য বিজেপির সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার সে অনুরোধে সাড়াও দিয়েছেন। সুকান্তের কথায়, ‘‘লোকসভা এবং রাজ্যসভায় পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির যে ক’জন রয়েছেন, তাঁদের প্রত্যেককেই ওঁরা আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন। আমি বিক্ষোভে যোগ দিচ্ছি। বাকিরাও সময় থাকলে অবশ্যই যোগ দেবেন। এই বিক্ষোভে আমাদের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।’’

সকাল ১০টা থেকে বঙ্গভবনের সামনে বিক্ষোভ শুরু হবে। ঘণ্টা দুয়েক বিক্ষোভ চলবে। বেলা ১২টায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করবে ‘লইয়ারস ফর জাস্টিসে’র প্রতিনিধিদল। সংগঠনের তরফে প্রকাশ করা বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে যে বীভৎস এবং ভয়াবহ ঘটনা ঘটছে, কমিশন যাতে সে দিকে নজর দেয়, সেই দাবি জানানো হবে।’’

Advertisement
আরও পড়ুন