Health Center Durgapur

এক্স-রে, ইউএসজি যন্ত্র বন্ধ পড়ে সুস্বাস্থ্যকেন্দ্রে

দুর্গাপুর পুরসভা থেকে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়ক পেরিয়ে পলাশডিহা গ্রামে ঢোকার মুখে রয়েছে এই সুস্বাস্থ্যকেন্দ্র।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৮:৫২
পলাশডিহায় সুস্বাস্থ্যকেন্দ্র।

পলাশডিহায় সুস্বাস্থ্যকেন্দ্র। নিজস্ব চিত্র।

বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয়ে কেনা এক্স-রে যন্ত্র, আলট্রা সোনোগ্রাফি (ইউএসজি) যন্ত্র। জমছে ধুলো। মেয়াদ ফুরিয়েছে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থারও। দুর্গাপুরের পলাশডিহা সুস্বাস্থ্যকেন্দ্রের এমন বেহাল অবস্থার অভিযোগ তুলে পুরসভার কাছে দ্রুত পদক্ষেপের দাবি করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য তথা স্বাস্থ্য দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত রাখি তিওয়ারি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার আশ্বাস দিয়েছেন।

Advertisement

দুর্গাপুর পুরসভা থেকে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়ক পেরিয়ে পলাশডিহা গ্রামে ঢোকার মুখে রয়েছে এই সুস্বাস্থ্যকেন্দ্র। বাসিন্দারা জানান, স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীরা আসেন। নানা রোগের চিকিৎসা হয়। ওষুধ পাওয়া যায়, টিকাকরণও হয়। কিন্তু এক্স-রে বা ইউএসজি করতে হলেই বিপাকে পড়তে হয় রোগীদের। কারণ, করোনা অতিমারির পর থেকে বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে ইউএসজি যন্ত্র।

জানা গিয়েছে, রেডিয়োলজিস্টের অভাবে এই পরিস্থিতি। আগে মহকুমা হাসপাতাল থেকে রেডিয়োলজিস্ট আসতেন। কয়েক বছর তা বন্ধ। তাই ইউএসজি করতে হলে বাইরে থেকে পকেটের টাকা খরচে করা ছাড়া উপায় থাকে না। একই পরিস্থিতি এক্স-রে করার ক্ষেত্রেও। কয়েক মাস ধরে প্লেটের অভাবে বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে এক্স-রে যন্ত্র। ধুলো জমছে চেয়ার, টেবিল, কম্পিউটারে।

স্থানীয় বাসিন্দা তন্ময় রায় জানান, এক্স-রে বা ইউএসজি করাতে বিধাননগরে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে যেতে হয়। যাতায়াতে বাড়তি সময় ও ভাড়া লাগে। অনেক সময়ে সেখানেও কোনও সমস্যা হলে, তখন বাইরে থেকে টাকা দিয়ে করাতে হয়। সমস্যায় পড়তে হয় দুঃস্থ রোগীদের।

খোঁজ নিয়ে দেখা গিয়েছে, সুস্বাস্থ্যকেন্দ্রের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার মেয়াদও ফুরিয়ে গিয়েছে বছরখানেক আগে। সব মিলিয়ে, এই কেন্দ্রের পরিষেবা নিয়ে পুরসভার বিরুদ্ধে উদাসীনতার অভিযোগ তুলেছেন বিজেপির বর্ধমান-দুর্গাপুর সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি তথা প্রাক্তন বরো চেয়ারম্যান চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, “এটা খুবই দুঃখের যে স্বাস্থ্যক্ষেত্রের মতো জরুরি বিষয় এতটা অবহেলিত হয়ে রয়েছে। গরিব মানুষ বঞ্চিত হচ্ছেন। অবিলম্বে পুরসভার ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।”

উদাসীনতার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য রাখি। তিনি বলেন, “এক্স-রে যন্ত্রটি বহু পুরনো। চালু ছিল। তবে এখন আধুনিক যন্ত্র বেরিয়েছে। ফলে, পুরনো যন্ত্রের প্লেট আর পাওয়া যাচ্ছে না। তাই সমস্যা হয়েছে। উচ্চ দফতরে বিষয়টি জানানো হয়েছে।” তিনি জানান, পলাশডিহা, বিধানপল্লি ও পুরসা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের জন্য একটি করে নতুন এক্স-রে যন্ত্র রাজ্য থেকে দ্রুত পাঠানো হবে। তখন সমস্যা মিটে যাবে। ইউএসজি যন্ত্র ফের চালু করার জন্য রেডিয়োলজিস্টের অভাবের বিষয়টিও উচ্চ স্তরে জানানো
হয়েছে। দ্রুত সমস্যা মিটে যাবে বলে আশ্বাস তাঁর।

Advertisement
আরও পড়ুন