Cultivation of Gourd

‘ফলের আশা’ করছেন না বর্ধমানের কৃষকেরা! লাউ হওয়ার আগেই গাছ কেটে বাজারে বিক্রি, কারণ কী

পূর্ব বর্ধমানের দামোদরের ধারে বিস্তীর্ণ জমিতে শুধুই লাউ গাছ। তার মধ্যে কয়েকটাতে লাউ জন্মেছে। বাকি জমি জুড়ে লাউ গাছ আছে, তাতে ফুলও আছে, কিন্তু ফল নেই। জামালপুরের কৃষকদের লাউ ফলাতে ঘোর আপত্তি!

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০২৫ ১৮:৪৫
Why Bardhaman Farmer did not interest for cultivation of gourds

দামোদরের ধারের জমিতে লাউশাকের চাষ। —নিজস্ব চিত্র।

লাউগাছ আছে, কিন্তু তাতে লাউ নেই! পূর্ব বর্ধমানের দামোদরের ধারে বিস্তীর্ণ জমিতে শুধুই লাউ গাছ। তার মধ্যে কয়েকটাতে লাউ জন্মেছে। বাকি জমি জুড়ে লাউ গাছ আছে, তাতে ফুলও আছে, কিন্তু ফল নেই। জামালপুরের কৃষকদের লাউ ফলাতে ঘোর আপত্তি!

Advertisement

জামালপুরের লাউ কৃষকদের এ হেন কাণ্ডে হতবাক অনেকেই। কেন এমন করছেন তাঁরা? দাবি, বাজারে লাউয়ের থেকে লাউশাকের চাহিদা বেশি। তাই কৃষকরা লাউয়ের বদলে লাউশাক চাষেই বেশি মন দিয়েছেন। ভোলানাথ মালিক নামে এক কৃষকের কথায়, ‘‘ধান, আলুর বদলে আমরা বিকল্প চাষ করছি। তবে বিকল্প চাষ হিসেবে লাউকে বেছে নিলেও গাছে লাউ ফলানো যাবে না। বাজারে লাউ শাকের চাহিদা লাউয়ের থেকে অনেক বেশি। দেশি প্রজাতির লাউ চাষ করলে এমনিতেই তার ফলন কম।’’ দেশি বীজের বদলে হাইব্রিড বীজের লাউ চাষ করলে ফলন বেশি ঠিকই, কিন্তু তা হার মানায় লাউ চাষের চাহিদাকে। ভোলানাথের দাবি, ‘‘একটা লাউ ফুল ফুটে বড় হতে যা সময় লাগবে তার তুলনায় প্রায় প্রতি দিনই বেশি লাউশাক বাজারে বিক্রি হবে। তাই আমরা লাউয়ের ফলন করছি না।’’

জামালপুরের কৃষকেরা জানান, বর্ষার শেষে তাঁরা জমিতে লাউবীজ বপন করেন। মাসখানেকের মধ্যেই লাউগাছ ডালপালা মেলতে শুরু করে। লাউগাছ একটু বড় হলেই জমিতে তাঁরা দু’ফুট উচ্চতায় মাচা বাঁধেন। তার পর আর খুব বেশি ঝক্কি নেই। সময় মতো জমিতে জল দেওয়া আর পরিমাণ মত সার ও কীটনাশক ছড়ানো।

কৃষকদের দাবি, এক বিঘে জমিতে লাউ চাষ করে যা আয় হবে তার থেকে অনেক বেশি পরিমাণে শাক বাজারে বিক্রি হবে। লাভও হবে বেশি। আর লাউগাছ চাষে খুব বেশি সারও লাগে না। চাষের আগেই মাটিতে জৈব সার মিশিয়ে দেওয়া হয়। গাছে যদি পোকার আক্রমণ হয় তবে মাঝেমধ্যে কীটনাশক ছড়াতে হয়। ফলে চাষে খরচ কম। লাউ চাষে আবশ্যক হল জল। কৃষকদের কথায়, ‘‘প্রতি সপ্তাহে পরিমাণ মতো জল দিতেই হবে গাছের গোড়ায়। না হলে গাছের বৃদ্ধি কমে যাবে।’’

Advertisement
আরও পড়ুন